তোমার সাথে দেখা হলেই
হয়তো বুকের বামদিকের চিনচিন ব্যথাটা
উপশম হয়ে যেত পাখীর পালকের মতন;
ডাক্তারবাবু বলেছেন খুব তাড়াতাড়ি ভর্তি হতে।
ভাসমান পৃথিবীতে বড় একা হয়ে গেছি।


তোমার সাথে দেখা হলেই
হয়তো একটুকরো মেঘ সূর্যটাকে ঢেকে দিত
তাপিত মরুর বালুতে ঝরে পড়ত
আশীর্বাদের মতন কিছু বৃষ্টির ফোঁটা।
ঘুমিয়ে থাকা বীজের কণা চোখ মেলে দিত।
আগামী পৃথিবী যার জন্য অপেক্ষা করে আছে,
দোদুল্যমান অবস্থায় আকাশে চোখ রেখেছি।


তোমার সাথে দেখা হলেই
হয়তো দেবদূতের মতন জিয়নকাঠি ছুঁয়ে ছুঁয়ে
অবস্থানের মুখের মিছিল আলোকিত হয়ে উঠত।
তিল তিল করে অপেক্ষায় তিলোত্তমা গড়া হলনা।
মিছিলের মুখ মুষড়ে যাওয়া পাতার মতন বিমর্ষ।
আশা নিরাশার সেতু
ক্রমশ টুকরো টুকরো হয়ে ভেঙে পড়ছে।


তোমার সাথে দেখা হলেই
হয়তো উপন্যাসের শেষের অংশ
মোহানায় যাওয়া নদীর মতন ছবি হয়ে যেত।
শিউলি কুড়ানোর মতন
কবিতার শব্দগুলো কুড়িয়ে জড়ো করে নিতাম।
তারপর, সারা শরীর জুড়ে যত্নে হতো কবিতা রচনা।  
নিদ্রাহীন রাতে চেয়ে আছি আকশের দিকে।
আজো আমি ভালবাসার বাতিঘর
নীল সাগরের নির্জন উপকুলে বিপন্ন নায়ক।