আমি যে কেন এমন জানিনা।
কিন্ত জানি, আমার ভিতরে রয়েছে দাবানল আগুন
সেই আগুনে ছারখার হয়ে যাবে
তুমি আর তোমাদের সোনার সংসার।


ছোট থেকে শুনে এসেছি
সেই আশ্চর্য এবং বড় অশ্লীল সে শব্দ।
শব্দের কোন দোষ নেই। সে অভিধানে থাকে।
দোষ তাঁর। যে সেটাকে অপপ্রয়োগ করে।
খুব ছোটতে বিস্ময় জাগত,
থাকতাম বোঝা না বোঝার সরলতায়।
সেই ব্যক্তি ছিলেন আমার নিজের এবং নমস্য।
তবু তাঁর শ্রীমুখ বিকৃত করে স্বচ্ছ দীপ্ত ভঙ্গিমায়
উচ্চারণ করে যেতেন সেই চিরাচরিত অক্ষয় শব্দটি।
আমার চোখের জিজ্ঞাসা হস্ত ঝটিকায় উধাও।
জানানো হয়েছিল...
যে উনি রক্তের সম্পর্কে সম্পর্কিত পিতৃব্য।
মেনে নিতাম শাসনে বারনে উনি হয়তো এমনি।


কিন্তু যখন বড় হয়ে জানলাম
সেই শব্দের অভিধানিক অর্থের কি পরিনাম!
আমার হৃদয় জুড়ে ঝড়, ঝড়ের সাথে আগুন
আগুন এখন ক্রমেই নীলবিষের অঙ্গার...
সেই নীলবিষের অঙ্গারই এখন যে জীবন্ত আগ্নেয়গিরি।


আজ আমি এক পরিপূর্ণযুবক।
অনবরত তাড়িয়ে নিয়ে বেড়ায়,
সেই ফেলে আসা রক্তাক্ত ঝলসানো চিত্রগুলো ।
আমাদের বুঝিয়ে দেওয়া হতো
প্রতিক্ষনে যে আমরা ক্রীতদাস।
প্রতিনিয়ত গরম ভাতের ঘ্রানে মিশে যেত সেই শব্দ।
উঁচু দাওয়া থেকে ফেলে দেওয়া হোল...
এটা ছিল শাস্তির নমুনা ''খিদে পেয়েছে,খেতে দাও''
কাটা ছাগলের মতন ভাইটা ছটফট করে উঠল।
রান্নাঘরে উঁকি দেওয়া ছিল আমাদের অপরাধ।
মা দেখত, আর দরজার আড়ালে আঁচলে চোখ মুছত।
তাঁর গৃহস্বামী যে অসহায় এবং নির্বিকার।


তাই একটু একটু করে
বিষ হজম করে আমি নীলকণ্ঠ।
দিনে দিনে শাখাপ্রশাখায় কি সমারোহ...
পাতায় পাতায় আগামীতে ফুটবে নীলফুল
অন্তিমে হবে ফল আমি যে এখন বিষবৃক্ষ।
এর দায়ভার নিতে হবে, তাঁর সাথে তোমাদের ও;
কেননা, তোমরা সেদিন কোন প্রতিবাদ করনি।
চুপ করেছিলে। সেই সুজন নাকি মঙ্গলকারক।
আমি জানতে চাই কে আমার আসল জনক
কেমন করে হই আমি জারজ ???
সত্যি মিথ্যার বিচার করতেই হবে ???
তা নাহলে আর একটা কুরুক্ষেত্রের জন্য প্রস্তুত হও ।