যে নির্বাসন নিয়েছে নিক
বকুল কোন দোষ করেনি সে নিস্পাপ
শ্রুভ্র জ্যোৎস্নার মতন আলোকিত হৃদয় প্রান্তর।
ভাগ্যিস বকুল ছিল!
তাই তার মালায় প্রেম এসেছিল
তার গন্ধে সে মুকুলিত হত প্রতিমুহূর্তে।
এক লহমার ফ্ল্যাশব্যকে নিজেদের দেখি
বকুল ছায়ায় আমি আর সে
আর দেশ দুনিয়ায় কেউ কোথাও নেই।
দুচোখ বন্ধ করে আবেগের জানালা খুলে দিই
তারপর তানপুরার তার ছুঁয়ে আলাপ বিস্তার।


গ্রহন লাগে রাহুগ্রাসে হারিয়ে যায় প্রেম...
না বলেই ফুরিয়ে যায় কর্পূর সুবাসের মতন।
বিষণ্ণ জ্যোৎস্নায় ব্যকুল বকুল বোবা কান্নায়
ঝরে ঝরে পড়ে অবিরাম মাটির বুকে ঠায়।
দিন ফুরিয়ে যায় পাখীর ডানায়।
তবু আশায় পথের মতন জেগে থাকি
যদি সে আসে কোন বসন্তের উৎসবে।
তখনো তারে মুঠো মুঠো ভরে দেব
হৃদয়ের বকুল উজাড় করে।
প্রেমের কাছে হাজার বছর ধরে
জন্মে জন্মে হেরে যেতে রাজী।