এক সময় আমিই ছিলাম
একটা বিশাল বটগাছের ছায়ায় মায়ায়;
সেখানেই ছিল কত নিরপত্তার অনুভব।
শীতল সরোবরের স্বচ্ছতায় শান্তি বিরজমান।
রোদ বৃষ্টি ঝড় শত্রু থেকে ছিল মুক্ত মন।
আয়োজন হয়তো কম, কিন্তু ছিল আন্তরিকতা।
অনেক না পাওয়ার বেদনা পীড়া দিত।
যখন বড় হলাম। ধীশক্তি দিয়ে বুঝলাম...
না পাওয়ার বেদনাও কিছু থাকার প্রয়োজন।
যত বড় হয়েছি রক্তে ঘামে বুঝেছি,
কি? কেন? সবটা পেয়ে বটের ছায়া দিতে পারতেনা।


পরমম্পরায় আমিই এখন বটের ছায়া
আমিও ঝুরি নামিয়েছি শীতল ছায়া দেব বলে।
কিন্ত সাধ আর সাধ্যে বিস্তর ফারাক...
চারা অবস্থায় সত্যিটা বুঝিনি
নীরব প্রতিবাদে বালিশ ভিজিয়ে গেছি।
অনেক অপূর্ণতায় তোমার অসহায় মুখ মনে পড়ে।
কি অপূর্ব আলো ছড়িয়ে পবিত্র থাকতে পারতে;
কি অসীম ধৈর্য নিয়ে একটা সমুদ্র হয়ে যেতে।


একদিন আমার ছায়া সমুখে দাঁড়িয়ে বলে,
তোমার ইচ্ছা পূর্ণ করতে চাই।
ওই সুদূরে আকাশ পথে যাও;
সবুজ শ্যামল কিরাতভূমি দর্শনে যেতে চাও। যাও...
আমি তোমার পথের পারানি, সারথি হতে রাজী।
বুকের ভিতর তখন কী তোলপাড় !
এপারে খাদ ওপারে খাড়া পাহাড়।
হৃদয় জুড়ে বৃষ্টি ঝড় উথাল পাথাল।
ঝিনুক ভাঙা মুক্তোয় আমার দুচোখ সজল।