স্বপ্ন না সত্যি ঠিক বুঝলাম না।
কি মনে হোল তাই দরজা খুলে দিই ,
দেখি তুই দাঁড়িয়ে আছিস মাথা নিচু করে।
আমি বললাম - কিরে বৃষ্টি! বেল বাজাসনি কেন?
আয় আয় ঘরে আয় । অনেক কথা জমে আছে বুকে।
তখন দেখি তুই গুটি গুটি পায় ঘরে এসেছিস;
তোর প্রিয় বারান্দার চেয়ারে গিয়ে বসে রইলি।
সারা মুখে যেন একরাশ মেঘলা! বলে ফেললাম।
শরীর না মন খারাপ ? শ্রাবণের সাথে ...ঝগড়া
নাকি! মান অভিমানের পালা চলছে ?
চুপ করে থাকিস না... বৃষ্টি
বুকের ভিতর কেমন যেন তোলপাড় হয়।


তোর বিয়েতে যেতে পারিনি! সে অনেক কথা।
না নিমন্ত্রনের কোন ত্রুটি ছিলনা।
অভিমান আমাদের হয়েছিল এমনধারা বিয়েতে!
মা বাবা চলে যাবার পর আমরাই ছিলাম আপনজন।
অস্বিকার করে বলে দিলি - আমিই স্বয়ংসম্পুর্না।
আমি নিজেকে নিজেই এগিয়ে নিয়ে যাবো।
এই বলিষ্ঠ শব্দে আমাদের কি অবস্থা হয়? তুই বল?
একনিমেষে মনে হোল - আকাশ ভেঙে পড়ল!
ভেবে দেখলাম অষ্টাদশী মেয়ের মুখে একথা মানায়?
কম বেশি ধাক্কা লেগেছিল সবার বুকে।


কিছুদিন যেতেই বুঝে আমাদের ভাবনা ভুল ছিল।
খুব গর্ব হোল তোর উন্নতি আর কাজ দেখেশুনে;
এমন চেতনা সমৃদ্ধ হৃদয় কটা মেয়ের থাকে?
এমনটা ছিল তোর মা ঝর্ণা ...
সব কিছু কুসংস্কার দুপায়ে মাড়িয়ে এগিয়ে যেতে পারত।
তোর বাবাও কিছু কম ছিলনা, কাজে ছিল দারুন গতি।
অসীম হৃদয়ে সেও হয়তো তোর সাফল্যই দেখছে।


এত কথা আছে আজ আর ফুরাবে না।
বৃষ্টি কি খাবি বল? বাজার থেকে একটা ইলিশ আনি!
আজ রাতে শ্রাবণ আসবে?  
এই দেখো মেয়ে আবার লজ্জা পায় ;
বিয়ের পর এই প্রথম সে আসছে...
মেয়ে জামাইকে আপ্যায়ন করতে হবেনা!
হাসছিস যে ... মনে হচ্ছে নোতুন খবর আছে।
এই দেখ মেয়ে আবার মুখ লুকাচ্ছে।
যা যা কাকিমার সাথে দেখা করে খবরটা বল।
নোতুন অতিথির আসছে জেনে সেও ভীষণ খুশি হবে।
তিনি আবার নামও ঠিক করে রেখেছেন ।