কাল বিকেলে
গমগমিয়ে যমদূতের মতন ঝড় এসেছিল।  
পায়ে পায়ে দ্রুত ছাদে উঠে এলাম ।
ধূপছায়া রঙের ওড়না উড়িয়ে
মেঘলা মেয়েও সুন্দর সেজেছিল।
হিংসুটে দৈত্যএর মত রাশি রাশি
ধুলো উড়িয়ে আমার দুচোখ ঢেকে দিল।
ঝড়ের সাথে একনাগাড়ে লড়ে চলেছে গাছের সারি।
ঝড় যেন চায় জোর করে বশ্যতা স্বীকার করাতে।
গাছেরাও চায়না ক্রীতদাসের মতন বাঁচতে
তাই বুক চিতিয়ে করে চলছে অসম লড়াই।
শব্দে শব্দে শনশন রণাঙ্গন কি ভীষণ তাঁর গর্জন ।
কের ভিতর যেন হাজার হাতি চলায়মান।
পাখীর বাসা উড়ে চলে গেল
তাই তীব্র সুরে ওরা চিৎকার করে।
কালো রঙের একটা বাবুই কি করবে ভেবে না পেয়ে
উড়ে এলো ছাদের কার্নিশে;
তারপরেই ঝড়ের সাথে মোকাবিলায়
উড়ে গেল কি জানি কোথায়!
কোন হতভাগার বাড়ির চালা উড়ে গেছে
ওরা বিস্ময়ে হতবাক!  
হা হা করে ওঠে ডাকাত মেঘেরা
ঘন ঘন ওরা বিদ্যুত বানী হানে।


এর ভিতরেই যা হবার তাই হয়ে গেল।
হয়তো বা সবটায় চক্রান্ত কিম্বা ষড়যন্ত্র !
মেঘলা মেয়ে চোখের সামনে থেকে
শেষেমেষে হয়ে গেল চুরি।
উড়ে যায় মেয়ের ওড়না, মুছে মুছে যায় তাঁর কাজল  
খসে খসে যায় ঘন কালো মেঘেরবরন চুল।  
কিচ্ছু জানেনা
ওদের সাথী উড়ো মেঘের দল ওরাও হতবাক।
কেউ জানেনা সাধুর বেশে
হয়তো রাবণ এসে এই দুষ্কর্ম করে গেল।  
শেষে প্রকৃতিতেও দেখি ছলে বলে কৌশলে বৃষ্টি চুরি হয় ।


ভাগ্যিস মেঘলা মেয়ে আঁচলে করে
কিছুটা বৃষ্টি ছড়িয়ে ছিল ।
তাইতো প্রকৃতি জুড়ে অশান্ত ঝড়ের পরে  
কিছুটা শান্ত হোল।