তোর কাছে চিঠি আর পাঠাবোনা ভাবি কিন্তু লিখে ফেলি।
তুই উত্তর ও দিসনা ঠিকানা কি পালটেছিস।
বুঝতে পারিনা একটা কিছু নিশ্চয় হবে।
আমি ও বারবার ভাবি তোকে চিঠি লিখবনা
তাও কেমন লিখতে বসে যাই।
মেঘেরা ছুটি পেলেই বলে কি হোল
চিঠি লেখো সে আসবে,
কাশফুল দুলে দুলে বলে
চিঠি লেখো সে আসবে...
ছাদের টবে শিউলির কুঁড়ি এসেছে
দু একটা ফুটেছে।
মিষ্টি সুবাস ছড়িয়ে বলে
তাঁকে আসতে বলে দাও,
সে যেন অবশ্যই আসে।
রদ্দুরে কেমন সোনা সোনা গায়ে হলুদ ব্যাপার স্যাপার।
আশাবরীতে কে যেন গানের সুর সাধছে...
সবই যেন তোর অপেক্ষায় আছে...
তুই এলেই যেন ষোলকলা পূর্ণ হয়।
আসছিস! আসিস কিন্তু...


    গত সপ্তাহে কি যেন মনে করে
তোদের দেশের বাড়ির দিকে গেছিলাম।
দেখে মন খারাপ হয়ে গেল।
মাটির বাড়ির চালা আশ্বিনের ঝড়ে উড়ে গেছে।
সামনের উঠানে অনেকে ভিড় করে ভোরের শিউলি কুড়াচ্ছে।
ওদের ভীতর মিছিমিছিই তোর মতন কাউকে খুঁজছিলাম।
যে কিনা তোর মতন ফুল কুড়াতে পারেনা।
কেউ কুড়িয়ে তাঁর জামার কোঁচড়ে এনে দেবে।
বাড়ির পিছন দিকে যেতে গিয়ে
ওদের ভিতর কেউ একজন বলল - ওদিকে যাওয়া বারণ।
ওখানে খুব সাপের আনাগোনা।
শুনলাম না তুইতো জানিস আমি বরাবর একগুঁয়ে।
না গেলেই হয়তো ভালো হত।
রাস্তা জুড়ে একটা সাপের খোলস পড়ে আছে
চমকে গেলাম!কুয়াশার মতন ভয় জমছে বিশ্বাসে নিঃশ্বাসে...
অবাক কাণ্ড বাঁশের গাছে ফুল ফুটেছে
অদ্ভুত দেখতে সে ফুল। তোর কথা মনে পড়ল...
বলেছিলি বাঁশের গাছে ফুল ফুটলে বুঝবি
আমি কোনদিন আর এখানে ফিরবনা।
    বুঝলাম কথাটা হয়তো সত্যি...
তাই আকাশের ঠিকানায় আর চিঠি নয়...
কি করবো তবু সেই একই ভুল করি...
চিঠি লিখে ফেলি...