তোমাকে অনেক খুঁজে যখন কিছুতেই পেলাম না
তখন ঠিক করলাম। আর তোমাকে খুঁজবো না।
তবু মন ছুটে যায়, প্রথম দেখার সেই বাঁশের সাঁকোতে।


যায় যায় করে বিকেলের রোদ্দুর তখনো রয়ে ছিল
উড়ি উড়ি করে তখনো কিছু পাখীর উড়াল ছিল।
একটা দুটো সবুজ কলাপাতায় ছায়া ভিড় করছে
তুমি উপুড় হয়ে খালের জলে নিজেকেই দেখছ।
আমার চোখে চোখ পড়লেও তুমি আমায় দেখনি
তুমি তখন প্রকৃতির সাথে একাত্ম হয়েছ গেছ ।
আমার ভিতরে কবিগুরু গান শুনিয়ে যায় আশাবরীতে
ব্যস, দুচোখ জুড়ে আঁকা চিত্রপটে তুমিই চিত্রলেখা।


ঘুমের ভিতর জেগে দেখি জানলা দিয়ে জোত্স্না অকাতরে
একলা বিছানায়, হাজার প্রশ্ন মনের ভিতর উঁকি মারে।
তবে কি সময় এসে অসময়ে করলো তোমায় চুরি
হৃদয়ে দ্রুত ঢেঁকির পাড়, রক্ত ছোটে তীরের বেগে
দুহাত দিয়ে যতই আঁধার সরাই ততই ধরে ঘিরে।
চৌষট্টি সোপান বুকে পায়ে হাতে পৌঁছে গেছি ছাতে
দেশ দুনিয়া রুপালী আলোর বন্যায় ভেসে গেছে
তারই মাঝে তারার মালায় সেজেছে আমার চিত্রলেখা।