তিরিশ বছর পরেও তুমি তেমনি রয়ে গেলে
তখনো এখনো সকল সময়ে
তোমার পাশে আমি ছিলাম বড্ড বেমানান।
সবাই যেন মুখিয়ে থাকত বলবার জন্য
একী! এযে দেখি পূর্ণিমাতে চন্দ্রগ্রহন!
তোমার চোখের ইশারায়
সবাই কেমন স্তব্ধ হয়ে যেত।
তুমি ছিলে যেন আশ্চর্য সম্মোহনী এক দেবী।
আমার কেমন অস্বস্তি বেড়ে যেত।


তিরিশ বছর অনেকটা সময়
তুমি আজো সেই শিশির ভেজা পদ্মকলি কিশোরী
আমার শরীরে গভীর সবুজ শেওলা পিছল।
তবু ও তুমি আমায় গভীর ভাবে চেয়েছিলে,
কেমন জ্যোৎস্না ছড়িয়ে বলে দিতে একনিমেষে
ভাগ্যিস তুমি ছিলে...
তাইতো সবাই আমায় ডাকে জ্যোৎস্না রানী বলে।
আমিও দেখি অবাক বিস্ময়ে কাকচক্ষু জলে
তোমার রুপালী ছায়া অদ্ভুতভাবে দোলে।


কি যে হোল কি জানি!
বছর ঘুরতে না ঘুরতে জীবন ফুরিয়ে গেল।
শেষে ডাক্তারবাবু জবাব দিল।
ঘনিয়ে এসেছে শেষের সে সময়।
কারোর আর কিচ্ছু করার নেই।
সত্যি সত্যি কদিন পরেই চন্দ্রগ্রহন হয়ে গেল।


চিরকাল ছবির ভিতরে থেকে শুধুই দেখে গেলে।
নিজেই নিজেকে দোষ দিই, হয়তো আমি চরম দোষী।
আজো অজান্তেই কেউ কেউ কাঁটা ফুটিয়ে রক্ত দেখে।
তুমি থাকলে হয়তো চরম জবাব দিতে।
এই পৃথিবী বড় সঙ্কটময়।
তোমার ভালবাসা ছায়া ছবিতে দিব্যি বেঁচে আছি।
অন্যকোন জীবন যদি পাই
সেখানেও কিন্তু তোমাকেই আমি চাই।