কি নেবেন দাদা? চা দেবো?
লাল না দুধ?
চিনি না নাকি চিনি ছাড়া
ভাঁড়ে না গ্লাসে ? ছোট না বড়?
অনেকক্ষণ চেয়ে রইলাম ওর দোকানীর মুখে।
ভাঁড়ের চায়ে চুমুক দিয়ে বেশ স্বস্তি।
প্রশ্ন ছুটে আসে। দাদা কি এদিকে নোতুন?
কোথায়? কার বাড়িতে এসেছেন?


না না এসেছি কাজের খোঁজে;
এদিকে নাকি এক শ্রীদাদা বলেছে কাজ আছে।
সেকি ! সেই শ্রী দাদাকে কাল পুলিশ ধরে নিয়েগেছে।
সবনাকি ভাঁওতাবাজি; এসে ভুল করেছেন দাদা।
যান বাড়ি ফিরে যান।
- না ফিরতে পারবনা। একটা কাজ খুব দরকার।
কাজ না পেলে সংসারটা ভেসে যাবে।
ছেলেটা বলেছে অন্যদেশে চলে যাবে।
সেখানে যোগ্যতা মানের নিচেও কাজ করতে চায়।
আর তা নাহলে বলছে নিজের কিডনি বিক্রি করবে।


তাই বেড়িয়ে পড়েছি এই বয়েসে কাজের খোঁজে।
ছেলে গেছে দক্ষিনে আমি চলেছি উত্তরে
গিন্নী গেছে পশ্চিমে মেয়ে গেছে পূর্বে ।
অনেকদিন হয়ে গেল আশায় আশায়
আমাদের দিন আর ফেরেনা।
হয়তো আর ফিরবেনা।