তুমি কি এখনও
শিশির ভেজা সবুজঘাসে হেঁটে যাও ;
জানালার পাশ দিয়ে শিউলী তলায়
মুঠো ভরে ফুল কুড়িয়ে ঘ্রান নাও !
একলা পড়ে থাকি স্মৃতির ঝাঁপি খুলে ।


তুমি কি এখনও
ধীরে খড়িনদীর পাড় ধরে হেঁটে যাও
খোলা চুল বাতাসেতে উড়তে থাকে ।
অবাধ্য আঁচল পোষ মানাতে থাকো,
অপলকে দেখি সীমানা পেরিয়ে যাচ্ছ ।


তুমি কি এখনও
আপন মনে জীবনানন্দ আবৃত্তি করো ;
সেই গাংচিল আর বনলতার রুপকথা !
গীতবিতান সম্মুখে উদাসী দুপুরে গাও !
গানগুলি শ্রুতির স্মৃতিতে আজো আচ্ছন্ন ।


তুমি কি এখনও
বসন্তদিনের প্রথম কুহুতে চঞ্চলিত হও ;
গ্রীষ্ম দহনে দখিনা বাতাস কামনা করো ;
বৃষ্টির প্রথম ফোটায় নিজেকে সিক্ত করো
শীতের শিহরণে শরীরী ওম খুঁজে ফেরো ।


কিন্তু আজো এখনও
অনন্তযৌবনা তুমি অনুভবে আমারই আছো ;
স্নানঘর থেকে ঘুমঘরে প্রতি মুহূর্তের পরশ ।
নিবিড় শান্ত আদরমাখা চাদরে রেখেছি,
হুইলচেয়ারে এইতো দিব্যি বেঁচে আছি ।