বুঝতে পারছি ধীরে ধীরে মৃত্যু
দখল করতে চায়ছে
আমার ফুলমতিয়ার শরীর।
আমি মা হয়ে তাই বসে বসে দেখব।
কক্ষনো না দাঁতে দাঁতে চেপে লড়ে যাব
হাতে হাতে রেখে পাঞ্জা লড়বো ওর সাথে
আমার শরীরের রক্ত নদীতে তুফান তুলবো
চোখে বিদ্যুৎ বেগে ঝাপটে ঝড় ওঠাবো
দেখিতো কি করে আমার কোল থেকে
আমার কলিজা ফুলমতিয়াকে
সে নিয়ে যেতে পারে  না ফেরার দেশে।


রাত্রি জেগে ঠিক পাহারা দেব ঠায়
দরকার হলে দেশের কোণে কোণে পৌঁছে যাব।
পৃথিবীর সব কিছু বাঁধা উপেক্ষা করে।
প্রয়োজনে লোটা বাটি কম্বল বেচে দেবো।
ভাষা কখনোই শিকল হয়ে সামনে দাঁড়াবেনা।
হৃদয়ের আবেগ, চোখের জলের ভাষা,
সব মায়ের কাছে তার সন্তান কতটা  দামী।
নতুন করে কাউকেই বলে দিতে হবেনা;
তানাহলে না হয় আবার ইতিহাস লেখা হবে।


মস্তিস্কের মূল গ্রন্থিতে
অস্ত্রোপচার হয়তো খুব জটিল।
ফুলমতিয়ার মা আমি।
তীরের ফলার মতন একাগ্রচিত্ত আমার।
বিনা যুদ্ধে এক বিন্দু মাটি দিতে প্রস্তুত নয়
এই অসম লড়াইয়ে
প্রতিপক্ষের পিছু হঠা সুনিশ্চিত করতে
পবিত্র আগুন হাতে রেখে শপথ নিলাম।