ঘুম সকালে হটাত ভেবেছি ডুব দেব সুর মূর্ছনায়  ।
অমনি বাসনা পূর্ণ হোল,বাঁধি ছেঁড়া তার তানপুরায়।
আজ বুঝি কেউ বাজাবেনা প্রতিদিনের মতো বাঁশি  
গতদিনের বাসী আস্তাকুড় নিজে করেছি সত্কার ।


ভেবেছিলাম পাব রমনীর সেই রসনাতৃপ্ত মত্স
মিলেছে সে ধন বাজারে তাই মুচকি হাসিতে বরন ;
সপসপাসপ ডাল আলুভাতে মস্ত ঢেকুর তুলে
রাস্তায় গিয়ে দফতর যেতে অপেক্ষাতে বাহন।


যা ভাবি আজ ঠিক তাই তাই পরপর ঘটে যায়
এবার কাটবো লটারী টিকিট ভাগ্য হবে যে সহায় ।
শুধু মনে ভাবি ছুটি হয়ে যাক যেন তেন প্রকারেন  
সিটি মার্কেটে টিকিট কাটতে ঠিক চলে যাব ভাই ।


খবর এসেছে পটল তুলেছে এক গন্য-মান্য ব্যক্তি
আমার খুশী আর কে দেখে ঘোষণা হয়েছে ছুটির ?
কেটে নিয়েছি লটারী টিকিট সিটি মার্কেটে সত্বর
ভাবি দরকার নেই পয়সার, ফিরব বাড়ি হেঁটে এবার ।


টিকিটগুলো উঁকিঝুকি মারে বুকেতে দেয় সুরসুড়ি
বুক চেপে ধরি রাজপথে, ত্বরা করে ফিরি বাড়ি সাঁঝে ।
ভীমবেগে লরী ধেয়ে আসে, নেবে বুঝি প্রাণ কেড়ে!
প্রাণ যায় যাক ভেবে নিলাম, টিকিটগুলো যেন বাঁচে ।


জানিনা কেমনে বেঁচে গেছি পকেটেই প্রাণভোমরা
মনেতে ফুর্তি গড়েরমাঠ, হালকা বাতাসে ঘরে ফেরা।
বাড়িতে জটলা মড়া কান্না রজনী'র মালা আমার লাশে
'বাঁচাও' বলে চিত্কার জুড়ি কেউ শোনেনা আমি ছাড়া।