আজ শরীরটা ভাল লাগছিল না।
মেঘলা সকালের মতন মুখ ব্যাজার;
হাত পা মাথার কোন কাজ করবার ইচ্ছা নেই।
মনটাও দেখি তাহাদের সাথে মিলে গেল।
আমার কেন যেন মনে হোল
ওরা সাবাই বুঝি ধর্নায় ব্যস্ত।
মুখের প্রশ্নে চোখ ঝাঁঝিয়ে উঠলো।
সারারাত নববর্ষের আগমনে হুল্লোড়ে ঘুম হয়নি।
আমি ঘুমাতে চাই অনেকটা সময়।
ওদের হাতে শরীর সঁপে দিলাম।


ঘুমের ভিতর আলোর অনুভব,
অনেক অনেক অনেক আলোর অণু পরমাণু।
সৌরমণ্ডলের মতন বৃত্ত পরিক্রমা করছে।
মন্দ লাগছেনা হালকা পালকের মতন ডানায়
গ্রহ থেকে গ্রহান্তরে আমিও উড়ে চলেছি।
কতক্ষন যে সেই ভাব ছিল জানিনা।
সময়ের উপর আমার কোন নিয়ন্ত্রন ছিলনা।


একটা পরিচিত কান্নার কণ্ঠ
অনেক দূর থেকে ভেসে আসছে।
খুবই চেনা কিন্ত কিছুতেই মনে করতে পারছিনা।
কারা কারা যেন বারবার আসছে, ফিরে যাচ্ছে;
নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছে।
চেতনে অচেতনে এটুকুই মনে আছে।
নারী কণ্ঠের প্রশ্ন -ডাক্তার বাবু উনি কি ভালো আছেন?
পুরুষ কণ্ঠে আশ্বাস - সময় লাগবে...
আমাদের উপর আপনারা একটু বিশ্বাস রাখুন।
দূরে চলে যায় সেই ধ্বনি প্রতিধ্বনির মতন।
বাম দিকটা মনে হোল অসাড়।
কে যেন পরম আদরে চোখের জল মুছতে থাকে।