-


বন্ধুবরেষু- সুপ্রভাত


    পত্র লেখার নেশা মৃতবত হৃদে জাগিয়ে দিলে ।
শুকনো মরাডালে তোমার মুখনিসৃত বাণীর বারুদ
ঘসে আগুন জ্বেলে দিলে। জ্বলছে দাউ দাউ করে,
পুড়ে যাচ্ছে আধুনিক যান্ত্রিকতার যত অহংকার ।
SMS WHATSUP VOICE CALL কত কিছু ।


বাবার নামে দস্তখত করে স্কুলে প্রথম মিথ্যা চিঠি ।
সেই থেকে অভ্যস্ত অন্য অনেকের হয়ে লেখাতে ।
বন্ধুর হয়ে প্রথম প্রেমের চিঠি লিখে দিতেই হবে
দিলাম। বুমেরাং ,প্রেমিকা আমায় প্রেমিক ভাবে ।
বন্ধুর কাছে হয়ে গেলাম সস্তা ছায়াছবির খলনায়ক ।


পিওন কাকুর পথ চেয়ে চেয়ে ক্লান্ত হয়ে গেছি ।
তিনি আস্বস্ত করলেন, তোমার চাকরীর চিঠি !
অবশ্য এনে দেবো, তারপর এক গলা মিষ্টি খাব;
সে চিঠি পেয়েছি,চাকরীতে অন্তর্ভুক্তির অনেক পড়ে।
আমার দুঃখ আনন্দ,ঐ ডাক কাকুদের আর দেখিনা ।


বিয়ের পর অষ্টমঙ্গলাতে রেখে এসেছি নববধুকে,
মনের ভিতর কালিদাস জীবনানন্দের পান্ডুলিপি ।
কাগজ কেটে গোলাকৃতি আকারে মেঘদূত লিখেছি।
L.P.রেকর্ড'এর শব্দাবলীর জেরে ত্রস্ত্র হাজির 'বনলতা ''!
ব্যস্ত রাস্তার মোড় ফাঁকা, লাল ডাকবাক্স আর দেখিনা।


ঠিকানাবিহীন পিতার উদ্দেশ্যে লিখেছিলাম শেষ চিঠি
অনেকের অনেক নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বে যাকে ছাড়িনি!
মরনাপন্ন জন্মদাতার শেষ নির্দেশ " ছেড়ে দিস বাবা "
আমার মতো ধুকে ধুকে অকালে মৃত্যু ডেকোনা ।


একরাশ শুন্যতার মাঝে ইথার তরঙ্গে বাজে সুর-ধ্বনি
ম্যাজিকের মতন প্রতি পথের মোড়-এ দেখি ডাকবাক্স ।
বুকের মধ্যে অনন্য বলিষ্ঠতায় অনবরত বলেই চলেছ ,
তুমি আমাকে একটা হাতে লেখা চিঠি দেবে! দাওনা !


ইতি - শুভসকাল


পুন :- তোমার কথা রাখিয়াছি এক্ষণে তুমি তোমার কথা রাখিও ।