বাবার ইচ্ছা পূর্ণ হলোনা আমি কন্যা
তাই মাতৃসদনে তিনি দেখতেও আসেননি ।
মায়ের দুচোখে জল আমার মাথায় ডানহাত।
ডাক-দফতরে কাজ করে হাসিমুখী আম্মা যামিনী  
আমার মাথায় চুমু দিয়ে সে নাম রাখে দামিনী।
সেই আমাকে ঘরে তুলে নেয় উলু শঙ্খ বাজিয়ে।


বাবার সংসারে আমি পরগাছা
অজানা জ্বরে তিন বছরে হারিয়ে গেল মা ।
বাবা বড়ই ব্যস্ত হলো আনতে নতুন মা ঘরে।
নতুন মায়ের সময় কোথা আমায় আদর করে।
মায়ের কাজ বেড়েছে কোলে সোনার টুকরো ছেলে।
বাবা আমার বিপ্লবী তাই নাম রেখেছে মিছিল ।


এখন বাবা নতুন ফ্লাটে সঙ্গে মা মিছিল।
বড্ড ছোট যামিনী দামিনী'র ঠায় কী সেথা মেলে?
তাই রঙচটা নোনা দেয়ালে দুই দিদির সংসারটি চলে।
একজন যায় স্কুলে একজন দফতরে দুখে সুখে দিন কাটে
কালবৈশাখী এক ঝড়ে হটাত্‍ যামিনীর জীবনপাখি ওড়ে ।
বাবা তখন খুব দরদী অষ্টাদশী'র মেয়ের কী হাল হবে ?


দামিনী'র চোখে আগুন বাবার মুখোমুখী
বিক্রী করতে ভিটে বাড়ি হয়না মোটেই রাজি ।
সম্পত্তি স্থাবর অস্থাবর যাবতীয় পেনশন দফতর ,
উইল করেছে যামিনী সকল অধিকারী দামিনী।
যাও ফিরে তোমার রক্ত চোখে ভয় করিনা মোটে ।
যামিনী শিখিয়ে গেছে নারী কি করে হয় দামিনী ?