ওদের পাঁচ জনের শাস্তি বিধান দেওয়া হয়েছে
কিন্তু আরও একদল চায়ছে ...
সাথে যারা ছিল আরও সাতজনের শাস্তি চাই।
ওরা কেন আইনের বাইরে রয়ে যাবে।
লঘু আর গুরু দণ্ড মিলে মিশে এক হয়ে যাক।
সময় এখানে বিবেকদণ্ড নিয়ে ঠাই দণ্ডায়মান।


কিন্তু যার গেল তার গেল
তার শূন্য দৃষ্টিতে শুধু স্বপ্নদীপের হাজার মুখ
বোবা ভাষায় সে যেন বলে বেড়ায়;
-বাবা মা আমি শেষ হয়ে গেলাম।
আমার সামনে সাপগুলো এগিয়ে আসছে
কেউ ছোবল মারছে, কেউ ফণা দুলাচ্ছে
কেউ সাপের বীণ বাজিয়ে চলেছে
কেউ চোখের ক্যমেরায় উপভোগ করছে
যেন আমি অপার জগতের এক ভোগ্যপন্য।
সারা শরীর নীল! বিষে পাথর হয়ে গেছে
মনের ভীতর যত আগুন সব
দাবানলের মতন আগুনে পুড়ে এখন কাঠকয়লা ।
একফোঁটা চোখের জল নেই রক্ত নেই
মজ্জাহীন একটা যেন গাছের কঙ্কাল হয়ে গেছি।


আমি চেয়েছিলাম ওরা শাস্তি পাক।
এমন ঘটনা যেন আর কারোর জীবনে না ঘটে।
কোন মায়ের কোল যেন এমন করে শুন্য না হয়।
কিন্তু সেটা যে  হবেনা।
আমার অকাল মৃত্যু তুচ্ছ হয়ে গেল।
এই আতঙ্ক যেন রক্তবীজের মতন ছড়িয়ে যাচ্ছে।
সমাজের গভীরে গভীরে ,ক্ষমতা দখলের প্রেক্ষাপটে
যুগ যুগ জনগণ এমনি দেখবে
জলের বুদবুদের ফুটবে আবার হারিয়ে যাবে
এমনি চলবে জীবন কাঠপুতুলের মতন
নিসচুপ নির্বিকারে প্রকাশ্য দিবালোকে।