চেয়েছিস তুই একটু বটের ছায়া
যেখানে নিশ্চিন্তে আশ্রয় থাকবি স্বস্তিতে।
তবে আমি সে নই, আমি নির্জন এক সৈকত।
এখানে কিছু আছে পাখীর কাকলী
পাল তোলা কিছু নৌকার যাওয়া আসা।
মন্দ ভালোর গানের কিছু স্রোতে ভাসা।
বিলম্বিত আর দ্রুত লয়ের ছন্দে পথ চলা
ছড়িয়ে ছিটিয়ে সবুজ কিছু আছে বটে,
সেটাকে শান্ত স্নিগ্ধ ছায়া বলা মুস্কিল।
খেজুর গাছের মতন আছে কিছু কণ্টকময়
বে-খেয়ালে রক্ত ঝরায়,
অবশ্য, সময় সুযোগে অমৃতধারায় তৃষ্ণা মেটায়।


মাঝে মাঝে শঙ্খ-সাদা ডানায় ভিড় করে
দলবল নিয়ে পরিযায়ীরা আসে।
কিচিরমিচির ডাকে ঝগড়া করে বাসা বাঁধে...
ছানা পোনাদের মানুষ করে ... তারপর
আবার উড়ে যায় দূর অজানায়।
তখন ওদের পালক ছড়িয়ে থাকে যত্র তত্র।
আমি আবার একলা হয়ে পড়ি নির্জন সৈকতে।


বৃষ্টিমাসে বৃষ্টি ঝরে, ফাগুন এলে ফুল ফোটে
দিব্যি বাঁচি দিনের দিবাকর আর চাঁদের জ্যোৎস্না'তে।
মাঝে মাঝে অমাবস্যায় জোনাকিরা সাথ দেয়।
সেদিনতো অবাক! দেখলাম নোলকপরা আশ্চর্য চাঁদ।


কোন কোনদিন মাঝরাতে ঘুম ভেঙে যায়
বুকের ভিতর হু হু বাতাস গুমোট হয়।
ঠিক তখুনি কে যেন ক্লান্ত স্বরে বলে যায়
আমি খুব একলা পড়ে আছি... কেউ কি আছে...
আমায় একটু সঙ্গী করে নেবে। আমি বাঁচতে চাই।
তখুনি উষ্ণ অভিনন্দনে দুহাত বাড়িয়ে বলে দিলাম
চলে আয়...  চলে আয়...
তোর জন্যেই সত্যি সত্যি সাজিয়ে রেখেছি
ফেলা আসা একটা গোটা কিশোরবেলা।