সায়ন্তিকা একি!
তোমার রুদ্ররুপে চারিদিক কেমন অদ্ভুত মুমূর্ষুতা।
অনাহুত সাঙ্ঘাতিক দিনের ছবি কেন আঁকতে চাও?
রুদ্রপলাশ শাড়ির আগুন আঁচে বিশ্ব বম্ভান্ড পুড়ছে।


তোমার সেই জলতরঙ্গ হাসি কোথায় গেল?
নির্ভেজাল জ্যোৎস্নাস্নানে রাত্রির নিবিড় প্রসন্নতা
দিনের আলোয় তৃষ্ণা মেটানো অমৃত বরিষণ ধারা।
সবুজের হাতছানিতে পুবের বাতাসকে নিমন্ত্রিত করা।
সবায় কোথায় হারাল সায়ন্তিকা।


তোমার বিগলিত করুণায় অবগাহন করবে জীব
দীর্ঘ লাভের নেশায় জমেছে দিকে দিকে বিষপাহাড়
বিষের তীব্রতায় সব ছারকার হয়ে যাবে যে।
মানুষের হননে মানুষ ক্রমেই হিংস্র হয়ে উঠছে।
আবার তোমার অমৃত পীযুষ ধারায় কর কলুষ নাশ;
এই পৃথ্বীর জন্য হয়ে যাও কলুষনাশিনী।