আসলে আমি নিজেকে সমর্পণ করে দিলাম
ক্রীতদাসের মতন সারা জীবনের জন্য।
যেমন পাণ্ডবেরা পাশা খেলায় হেরে
বশ্যতা স্বীকার করে নিয়েছিল।
তুমি জানো আমার সাদা কালো জীবন
দাবা খেলায় কে কখন মন্ত্রী, রানী, হাতী, ঘোড়া
কোন চালে রাজা হয়ে যাবে কিস্তিমাৎ।
আমার কলঙ্কিত চোখে চেয়ে থাকা
জলসার নর্তকীর দেহ উপত্যকায় খাজুরাহ ভাবনায়।
ঝাড়বাতি গুলো একে একে
শরীরী দীর্ঘ প্রশ্বাসে নিভে নিভে রাত্রি ঘন করে।
আমার নখের ডগা ভিজে যায়  
সাকীর কোমল ত্বকের তরতাজা রক্তে।
সীৎকারে চিৎকারে একটা পিশাচ দাপিয়ে বেড়ায়।
হাজার টাকার ঝাড়বাতি ঝনঝনাত
শব্দে ভেঙে পড়ে শ্বেতপাথরের উলঙ্গ মেঝেয়।
রূপ নেয় যেন কুরুক্ষেত্রের ময়দান।


তুমিই তখন ত্রাতা হয়ে এসেছ বারবার
আমার চোখে চোখ রেখেছ
আমায় ধীরে ধীরে শান্ত করেছ বেদেনী মন্ত্রে।
কথা দাও ওগো প্রিয়তমা...
এমন করে আমায় আর অবহেলা করবেনা।
তোমার গোলাপ জীবনে
আমি নাহয় কাঁটা হয়ে থেকে যাব চিরতরে।