এমন ফলসার মতন মেঘ দেখলে ভাবনা আসে
কে যেন সুপারসনিক শব্দে ডাক দিয়ে যায়;
যেতে যদি চাও আমার সাথে চলে এসো,
আমি চলেছি বৃষ্টি মেঘের সন্ধানে।
অনেক অনেক বৃষ্টি ঝরাতে হবে পৃথিবীর প্রান্তরে;
আমি তখন গুটিপোকা। নানা ব্যথায় জর্জরিত প্রাণ।
পথ খুঁজি অবিরত একটু নতুন হব বলে।
তখনই শরীরে চকিতে আতরের গন্ধ মেশে
ধুপছায়া মেঘে আমি! নাকি!
আমার হৃদয় আকাশে রাশি রাশি মেঘ ভাসে...


মনে পড়ে গেল তোমার বাগানেই দেখেছিলুম
সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে লাল জামরুল।
প্রথমে ভেবেছিলুম, ওইগুলো বুঝি অজানা ফুল হবে;
তুমি হেসে উঠলে নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গের মতন
আমার হৃদ-স্পন্দনে তখন নায়াগ্রার জলপ্রপাত।
বুকে মাথায় আবেগের শরীরে রাশি রাশি জল কণা।


নদীর মতন কলকল সুরে এক নিশ্বাসে বলে ফেললে
একবার বাবার সাথে পীরের মেলায়
অনেক বায়না করে কিনেছিলাম।
সেই গাছওয়ালা স্বপ্নের সুরে আরও বলেছিল
গাছের ফল যখন লাল টকটকে হবে,
তখন নাকি আমি আমার মনের মানুষ খুঁজে পাবো।
মিথ্যে মিথ্যে বলেছিল সেই গাছওয়ালা
আমি ঝোড়ো মেঘের মতন বললুম - তাঁর দেখা পাওনি!
বৃষ্টি না হওয়া ফুসমন্তর মেঘের মতন হতাশে বলেছিলে
কই নাতো! এখনো তাঁর দেখা পাইনি।


কিন্ত আমি জানি,
তুমি এই আমার জন্যেই সাঁঝসকালে বারে বারে,
ডাক দিয়ে যাও। বুনোহাঁসের পাখীর ডানায় ডানায়।