কেমন আছো ?
এইদিকে আর আসনি অনেকদিন...
শরীর ভালো তো? হেমন্তে শীতের আমেজ
একটু একটু করে আবহাওয়া পাল্টাচ্ছে।
জানো, মা এসেছিল বেশ ধূমধাম করে,
ঢাক ঢোল বাজিয়ে রসেবসে ছিল চারদিন।
অবশেষে রেডরোডের কার্নিভালে মা সন্তুষ্ট।
দানে অনুদানে সোনা গয়নায় আলোর বন্যায়
অনেকের খোঁজ নিতে পারেনি।
যদি ও জানি মা সবার মা... মা' যে সার্বজনীন।
তুমি কি জানো কল্যাণীতে মা খুব বিপদে পড়েছিল!
ওখানে নাকি মা ভাইরাল ?
তাই অনেকে দুঃখ প্রকাশ করে বলেছিল!
''আহা মায়ের কাছে গিয়ে মায়ের দেখা পেলামনা।''
তাহাঁদের কষ্ট কাগজে কলমে যন্ত্রে প্রকাশ পেয়েছে।


আমাদের পাড়ায় থিম পূজা হয়েছিল ''একাকী মা''
বাড়ির আসবাব পত্রের সাথে মা অপেক্ষায় রতা।
তোমার আশার কথা ছিল! তুমি আসনি।
মা কিন্তু অনেক আশা করেছিল, তুমি আসবে।
তাই নারকোল নাড়ু বানিয়ে ছিল অনেক কষ্টে,
মা বলতে যদি ভুলে যায় ...
তাই চিরকুট লিখে রেখেছিল একে একে।
চশমার একটা কাঁচ ভেঙে গেছে।
জীবনদায়ী ওষুধটা ফুরিয়ে এসেছে।
বাড়িটা একটু মেরামত না করলেই না।
গাড়ি বারান্দার অর্ধেকটা মহালয়ার দিন ভেঙে পড়েছে।
বউমা নাতি নাতনি ওরা সবাই ভালো আছে?
নাতি কেমন দেখতে হয়েছে?
নাতির কি নাম দিয়েছিস?
ওর মুখ দেখবো বলে একটা আংটি কিনেছি।
এ মাস থেকে তোর বাবার পেনশন অর্ধেক হয়েছে।
ফোনটা আর কাজ করেনা, বেনুদা খোঁজ খবর নেয়।
দ্যখতো কি আবোল তাবোল বলে চলেছি।
ঠিক আছে ভালো থাকিস।


আমার নাম্বার ভুলে গেছ কথা বোলো...
অবশ্য আমিও তোমায় ফোনে খুঁজে নিতে পারি।
আবেগের সুতো ছিঁড়ে দিলাম
আকাশের ঘুড়ি এখন বেহাওয়াতে উড়ে যাক।



আজকের কবিতা কবি দিলীপ চট্টোপাধ্যায়ের -এর জন্মদিন উপলক্ষে উৎসর্গ করে দেওয়া হোল।