অশ্রুত শব্দগুলো সত্যি সত্যি খুব জীবন্ত
ওরা যেন একে একে ঢেউ ভেঙে উঠে আসছে;
আমায় দেখে ওরা কেউ কেউ ফুঁসে উঠতে চায়
কেউ কেউ পরম আদরে জড়িয়ে ধরতে চায়
কেউ  কেউ আজীবন পরজীবী হয়ে থাকতে চায়
আমি সবটা বুঝি, পরক্ষনেই নীরবে সহ্য করি।


এই সাম্রাজ্যে আমি নিতান্তই এক কুশীলব।
যে কিনা শুধু ভয় পেতে পেতে হয়েছে নির্জীব;
মেরুদণ্ডহীন... ঠিক যেন একটা কেঁচো...
উনি হাসতে বলেন, ফ্যল ফ্যল করে হাসি
কাঁদতে বললে অনাবশ্যক রোদনে ব্যস্ত হই;
গিরগিটির মতন চকিতে প্রতিবাদী হতে বলেন;
মোমবাতি হাতে হই চরম প্রতিবাদী।
আমি যে তার কাছে দাসখত মেনেছি;
ফোঁস করবার শক্তিও হারিয়ে ফেলেছি
হারিয়ে ফেলেছি জীবন ভাবনার জটিল রাশিফল।
এখন যে তার দেওয়া ফসলে আমার ঘর ভরে,
তার দেওয়া বস্ত্রে লজ্জা নিবারন,
তার শেখানো বুলিই আমি বলি যেন খাঁচার ময়না।


ভিড় করে আসা ওই প্রতিবাদী শব্দগুলো
নিরাবতার অদৃশ্য কাঁচের দেয়াল ভাঙতে বলে।
আমি বীরবিক্রমে এগিয়ে যায় ততোধিক পিছিয়ে আসি;
পাছে আমার পাওয়া খেতাব, যদি না পাওয়া রয়ে যায়।
জুলজুল চোখে চেয়ে চেয়ে দেখতে হবে
আমার সাধের খেতাব অন্যের হাতে চলে যাচ্ছে।
তাই পোষা বিড়ালের মতন উদয় অস্ত
শুধু ম্যাও ম্যাও করে পায়ে পায়ে ফিরি।