অনন্য স্বাদের মুহূর্ত দেখি সোনালী স্বপ্নের মতন
রক্তে মিশছে কিরণের অণু পরমাণু;
একটু একটু করে নিবিড়তায় ছবি আঁকছে পৃথিবী
দুচোখ বন্ধ করেও, সব কিছু দৃশ্যমান।
তুমি বসেছিলে মধুচন্দ্রিমা ছবির ঠিক নিচে
জানলার শার্সি ভেদ করে রোদ্দুর পড়ছে  
তুমি তখন তোমার জলজ্বলে উজল মুখে অন্যতমা।
তুমি ঠিক তেমনই রয়ে গেছ পরিপাটী ছবির মতন


তোমাকে ছুঁতে পারেনি মহাকাল
বদলে প্রতিশোধ নিয়েছে আমার উপর
দেখনা! কেমন হুইল চেয়ারে বসিয়ে দিয়েছে;
বাম হাতের রক্তের নদীতে আর স্রোত নেই।
কেমন যেন বহুদিনের নিথর প্রস্তরবৎ...
আমি যেন সেই...
বেহুলার মতন নিষ্প্রাণ দেহ বহন করা এক মানুষ।
মেরুদণ্ডের ইস্পাত প্রতিমুহূর্তে জানান দেয়
শুনছো হে, তুমি দাসের দাস আমার ক্রীতদাস।


তোমার ঠোঁট নড়লেই আমি টের পাই
কিছু একটা বলবার চেষ্টা করছ... বলনা!
চোখের ইশারায় যেন বললে
"দক্ষিনের জানলাটা খুলে দাও... চোখ ভরে দেখো।
মেঘলাভাঙা রোদ্দুর ছড়িয়ে পড়েছে।"
গ্রিলের ভিতর দিয়ে চোখ গেল সেগুন গাছের দিকে;
সবুজ সদ্যস্নাতা গাছটা যেন
ফুলের মুকুট পড়ে আজ তোমার মতই গরবিনী।
একটু আগে বৃষ্টি হয়ে গেছে
জলের ফোটাগুলো তখন টুপটাপ ঝরছে।
ওই গাছটা শান্তিনিকেতন থেকে এনেছিলে,
বাগানে বসিয়ে তুমি বলেছিলে
"ফুল ফুটলেই দেখবে আমার কথা মনে পড়বে।"