প্রায় নিভে যাওয়া প্রদীপের সলতে উস্কে
দেখি আলো একটু জোরালো হোল...
এ কার সাথে ছিল রাতের সহবাস!
ওর শরীরে মাংসপিণ্ড চিহ্নটুকুও নেই
কেমন একটা উৎকট গন্ধ
শ্বাসনালীর ভীতর দিয়ে হৃদয়ের ডাকঘরে
নীল চিঠি রেখে গেল।


এতো আমার বরুনা হতেই পারেনা
এ অন্য কেউ অন্য এক বায়বীয় অশরীরি
সারারাত ওকে ভেবে ওকে ঘিরেই
উৎসব হয়েছিল জ্যোৎস্নার জলসায়।
আকাশের উল্টো পিঠের তারারা
যাবার আগে বিদ্রুপের সুরে বলে গেল
এইতো তোমার বরুনা।
ওর শরীর প্রতি রাতে বিক্রি হয়ে যায়
তখন তুমি কোথায় ছিলে...
ওকে একলা রেখে গিয়েছিলে কার ভরসায়।
এই তোমার সেই একান্ত প্রেয়সী
যাকে তুমি কামনা করতে কৈশোরে।
নাদের আলী সবটা জানত ...
কিন্তু...সবটা হারায়... কালের নিয়মে...
সময়ের সাথে আপোষ করে
মৃত্যুকে বেছে নিয়েছে
সীমান্তের তিন প্রহরের সেই বিলে।