রসিকতা করে পার্কের দিদি বলেছিল। - তোর জীবনে যখন সত্যি প্রেম আসবে সেইদিন দেখবি এইগাছে ফুল ফুটবে। হাসতে হাসতে আমার হাতে গুঁজে দিল শক্তপোক্ত একটা গাছের পাতা। আমি আকাশ পাতাল ভাবছি দেখে দিদি মুচকি হাসি হেসে বলেছিল - কি বিশ্বাস হচ্ছেনা বুঝি। বাড়িতে গিয়ে মাটিতে ভালো করে বসিয়ে দিস। এই পাতা থেকে বেড়িয়ে পড়বে ডাল। আরো আরো সবুজ পাতারা ভিড় করবে। ধীরে ধীরে প্রেম যখন সত্যিতে পরিণত হবে, তখন এই গাছ বৃষ্টি খুঁজে নিয়ে ফুল ফোটাবে।
        শাওনের বৃষ্টিতে স্নান করে সাজঘর থেকে বেড়িয়ে আসবে ঠিক নায়িকার মতন সব কুঁড়ির দল। হালকা বাতাসে বৃষ্টির ধারায় ওরা দুলে দুলে গান গাইবে গান শোনাবে। সন্ধ্যা ঘনালে আশ্চর্যময় হয়ে নিস্পাপ সফেদ পাপড়ি মেলে ধরবে। তখন দেখবি এই কঠিন শহরেও দু একটা জোনাকির দেখা মিলবে, ঠিক যেন প্রেমের অগ্রদূত। হয়তো এমনটাও হতে পারে মেঘ সরিয়ে আকাশ জুড়ে চকিতে দেখা দিতে পারে চন্দ্রশোভা। বুঝবি তখন প্রেমের কলস হয়েছে পরিপূর্ণ। সারারাতের প্রেম শেষে ও কিন্তু ঝরে যাবে দিনের শুরুতেই। তখন কান্না পেলেও পেতে পারে। হৃদয় ভেঙে খান খান হয়ে যেতে পারে।
     অনেকদিন হয়ে গেল সুনন্দাদিকে বলা হয়নি আমি বাড়ি পাল্টেছি। সে গাছটাকে সাথে সাথে রেখেছি নীরব নায়িকার মতন। অনেকে অনেক নাম বলে তাঁর একটা নাম আমার খুব পছন্দের সেটা বলব একটু পরে। ওযে নিশিতে ফোটে নিশিতেই ঝরে তাইতো ওর এই নাম? থাক পরে জানাব। প্রতিবছর নতুন পাতা যেমন মেলে আবার তেমন প্রখরতাপে শুকিয়েও যায়। টব পাল্টে অন্য টবে জায়গা করে দিয়েছি। এবারেই দেখছি কেমন বাড়বাড়ন্ত  আশা জাগিয়ে এই মরসুমে অনেক নতুন পাতা মেলে ধরেছে সাথে কিছু কুঁড়িও। হয়তো আমার প্রেম পরিণত হতে চলেছে আর কিছু সময় বাকি। আসুমদ্র ধৈর্য নিয়ে আজো প্রতীক্ষা করে চলেছি। আমার এই গাছেও নিশ্চয় ফুল ফুটবে একদিন ঠিক ফুটবেই ফুটবে।  আমার '' নিশিপদ্ম''