এলো মেলো ভাবনার মতন
ওরা এলো আর চলে গেলো
চাকার উপর দিয়ে নাকি বাতাসে ভর করে
নাকি মনের পুস্পক রথে।
যেতে যেতে কেউ কেউ বলে গেল
সজনে কুঁড়ি ফুটি ফুটি করে ফুটছে
মিষ্টি একটা গন্ধ এনে দেবই দেবো।
আর একজন কথা শেষের অপেক্ষা না করেই
বলে আমি যে বলেছিলাম শিশির এনে দেবো।
এখানে সব হলুদ ঘাস! সবুজ কোথায় ?
কেউ ওদের ভিতর উস্মা প্রকাশ করে
- অতীতের ঝড়ে আমগাছ দেহ রেখেছে,
সেখানেটাই বড় শুন্যতা বিরাজমান।
কারোর কোনরকম হেলদোল নেই।
একটা শিশু নিমগাছ শুধু প্রতিবাদ করে
বলে আমি আর একটু বড় হয়। তারপর
ফিরে যাওয়া পাখিদের ডেকে নেব।
বলব এখানে এসে বাসা বাঁধো
সন্তান সন্ততিতে থেকে যাও বারোমাস।


কবি তুমি যে বুকে ভর দিয়ে দেখতে থাকো
আর ভাবনার গভীরে ডুবে দাও অনবরত
বুঝি তোমার শ্বাস নিতে কষ্ট হয়,
দেখিতো বুকের হাঁপরের দ্রুত ওঠানামা।
এই ক্রমশ মৃত পরিবেশে
তুমি বাঁচবে কেমন করে?
তোমাকে যে বাঁচিয়ে রাখতেই হবে।
আমরা জানি, আমাদের গতিবিধি
তুমি মনে প্রাণে অনুভব কর নিরন্তর।
তাই আমরা ইচ্ছা করেই এখানে আসি
দেখিয়ে দেখিয়ে চলে যায়
আবার হাসতে খেলতে ফিরে আসি।
কিছু পান্না কিছু নীল মেঘ কিছু পেঁচার ডাক
কিছু কিছু যন্ত্রণা কিছু ফিসফিস ভালবাসা
রেখে রেখে যায়।
তুমি যেন চিরন্তন অবুঝ সবুজ থাকো।