তোমার কথা ভাবলেই
নকশীকাঁথার মিষ্টি গন্ধ বুকে মেশে।
চোখে সামনে সিলুয়েটে ধরা দেয় ।
ট্রেনপথে যেতে আমবাগানের মুকুলে
তাঁর ওড়নার মতন কুয়াশার আদরের চাদর।
জল চুমকিতে কিশোরী মুখ স্বচ্ছ সরোবরে,
আয়না ভেবে আনমনা কিশোরী তাঁর মুখ মেলে ধরে।
নিজেকে পায়না, মনে যার ছবি গাঁথা সেই আসে।
সে বুঝি এক রূপকথার কিশোর
সে কেন হাতছানি দিয়ে বারে বারে কাছে ডাকে
চলে আয়, চলে আয়,
চল জলের গভীরে ডুব দিই।
কিশোরী লজ্জার মাথা খেয়ে
জল নাচিয়ে সবটা ভেঙে দিতে চায়
আবার সব থিতিয়ে গেলে তাঁর মুখ ধরা দেয়।


কি জানি কোন সর্বনাশের আশায়
ঝাঁপ দেয় ভরা পুকুর জলে।
গভীরে যেতে যেতে উষ্ণ ছোঁয়া লাগে
ফাগুনের লাল পলাশের রঙ লাগে ঠোঁটে গালে।
এক চুমুকে সবটা বুঝি শুষে নেওয়া যায়!
সেই নিষিদ্ধ অফুরান প্রেম।
বার বার চুমু দিতে দিতে ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়ে
দুজনের অবুঝ সবুজ ভালবাসা।
পাপড়ির মত ঝরে পড়ে থাকে জলের বুকে।
জল তাকে  ভাসিয়ে ভাসিয়ে নিয়ে যায়
কোথায় কে জানে কোন ভাঙ্গনের দেশে।


তারপর...
তারপরে কবিতা খেই হারিয়ে পথে বসে কাঁদে...
বলে আর যে কিছুই মনে পড়েনা।