বন্ধু শাহনূর


ইথার নীলখামে তোমার কথা কবিতায় জানলুম,
তোমার মহড়ার জন্য একটা নদী দরকার।
সে নদী কোথাও নেই
সে নদী নাকি আমার কাছেই আছে।
দেখো, সামনে আমার ও মহড়া চলছে
বিশেষ ঠাকুরের জন্মদিন উপলক্ষে।
যতদূর মনে পড়ে তুমি যা চেয়েছিলে সব দিয়েছিলুম
ওই যেমন নন্দিনী অনামিকা কথাকলি
নীরা অরুন্ধুতি সুরঞ্জনা বনলতা রুবি রায়, বেলা বোস।
সব দিয়েছি উজাড় করে। এখন বায়না ধরেছ...
একান্ত আপন আমার যে একটা প্রিয় নদী আছে।
সেটা ও তোমার দরকার!


আমার মহড়াকালে সেইতো আমার সব
আমার গীতবিতান আমার সংলাপ আমার লাবন্য কথা।
আমার পাল ছেঁড়া হাল, বৈতরণীর ভাঙা সপ্তডিঙ্গা।
সেই আমার অনামিকা সেই আমার কঙ্কাবতীর ঘাট।
আমার আকাশ ভরা সূর্য তারা।


তোমার নজর ভালো নয় প্রবাসী বন্ধু,
তুমি বরং নন্দিনী কে
ওক গাছের ছায়ায় নাটকের সংলাপ শেখাও ।
বনলতার শাড়ীতে এঁকে দাও চেরি ফুলের আশ্চর্য ছবি;
সুরঞ্জনার কণ্ঠে বসিয়ে দাও মোৎসার্টের বিখ্যাত সুর;
কথাকলিকে শেখাও অপেরার অভিনব নৃত্যভঙ্গিমা।
তোমার বিচিত্র অনুষ্ঠান নিশ্চয় সফল হবেই হবে।
আবার ও বলি, তুমি শুধু আমার নদী চেওনা।


আমার যে নদীর সাথে অন্তহীন প্রেম লীলায় অবগাহন।
যত কথা যত কলহ, যত চাওয়া পাওয়া মান অভিমান;
আকশের ছায়া পড়তে দিই, ও তখন নীলাম্বরী ;
রাতে তারাদের ওড়নায় ও অপরূপা মায়াবিনী ;
জ্যোৎস্না মেখে যখন গান করে ও হয়ে যায় কিন্নরী;
বৃষ্টির ধারাপাতে অধীর চঞ্চলা
আমার হৃদয়তট পরম আদরে ছুঁয়ে ছুঁয়ে যায়।
তুমি সব নিয়ে নাও প্রবাসী বন্ধু আমার
শুধু একান্ত আপন নদীটা চেওনা।



*** আজকের কবিতা কবি বন্ধু শাহনূরের জন্য উৎসর্গ করা হয়েছে।