তোমার সুধায় পূর্ণতা পেয়ে প্রকৃতি স্বয়ম্ভরা
তুমি তো সেই আদিমাতা সবার বসুন্ধরা।
তোমার কোলে দিন রাত্রি আলো আঁধার খেলা
নয়ন মেলে তোমায় দেখে ফুরায়না যে বেলা।


বুকের অতলে রাখো হীরে মনি মানিক থরে থরে
প্রথম আদি অনন্ত আঁধার শিলায় অতি যতন করে।
চেয়েছি যতই দিয়েছো ততই শুধুই দুহাত ভরে
শূন্যতা ছাড়া আর তো কিছুই পাওনি ফিরে।


প্রান থেকে প্রান ধায় তোমার অশেষ পুণ্য ধারায়
সঞ্চারিত জীবন দোলে অজস্র আলোক মালায়।
তোমার চাওয়ায় শ্যামল বনানী রঙে রঙে জীবন রাঙানী
ফুলের বুকে মধু ভরো, আনো ভবিষ্যতের অর্ঘ্য বাণী।


তবু অনাগত দিন আশংকাতে গরমিল সুরে আর ছন্দে,
হিমবাহ বুঝি যায় গলে, তপ্ত হৃদয় উষ্ণতা বরিসনে,
তিল তিল করে স্বপ্নে সাজানো সাধের একান্ত আদরিণী
অতল জলের আহবানে সলিল সমাধি হবে কী ধরণী?


একবার ভাবি, হারিয়ে যাবার আগে ফুরিয়ে যাবার আগে
অসংখ্য বর্ণমালা মতো পালিত যারা তাঁরই আশ্রয়ে।
উন্মোচিত চিত্তে ক্রমশ মৃত্যু আর ধ্ংসের পথ রুখে দিতে
তুষার শুভ্র সবুজ গরিমা মুক্ত আকাশ আবার এনে দিতে।
................................................


৫০-তম কবিতা এবারের নিবেদন