আমাকে ব্যবহার করে ফেলে দিয়েছো
     নির্জন একটা জাম গাছের তলায়  ।
শুক্লাপঞ্চমীর তিথিতে কত আদর করে
     তোমাদের মন মতো জায়গাতে রেখেছিলে  ।
ফুলমালা হতে নিয়ে চোখ বন্ধ করে
     আমার কাছে বর চেয়েছিলে...
বেদমন্ত্রে আমায় জাগালে, পলাশ গাঁদায়
     আমার চরণ ভরিয়ে দিলে  ।
তখনই বীনার তারে তারে ঝঙ্কৃত হল
     ‘বিপদে মোরে রক্ষা করো’ ।
আমি বাসন্তিকা, বসন্তের পরশ
     ছড়িয়ে আছে যতদূর চোখ রাখি  ।
চোখে চোখে কথা হ্য় পাশের ছেলেটির
     সাথে মেয়েটির, প্রথম আলাপ  ।
জলসা শুরু কত বিচিত্র নাচ গান
     নাটক মঞ্চে আলো আঁধারের বৃষ্টি...
প্রথম আলোর হলুদ রঙ লেগে থাকে
     এক থেকে একে, মন থেকে মনে  ।
হলদে সবুজ সর্ষে ক্ষেতে খুশির রোদ্দুরে
     নানা রঙের প্রজাপতির মেলা
তারপর, সব শেষ, নটে গাছটি মুড়োলো,
     আমাকে তোমরা বিসর্জন দিলেনা   ।
তাই, নির্জনে দিনরাত একা পড়ে থাকি
     হিমেল বাতাসে আমার চুল ওড়ে
একদিনের ঝড় বৃষ্টিতে শাড়ি উড়ে গেল
     ঝরে গেল চুল, মুছে গেল রঙ শরীর থেকে
এখন আমি আর বাসন্তিকা নই,
     খড় দড়ির শুধুই একটা কাঠামো ।