আমি কৃষ্ণকলি
বুকের ভিতর আগুন রেখে বাড়ছি ধীরে চন্দ্রকলায়
নতুন রূপে জন্ম নিতে নীল বিষেতে গুটিপোকায় ।
এক নারী বলে ‘রাত না পোহাতে অলক্ষীরে তাড়া’
অন্যে বলে ‘আজ পুড়িয়ে মারবো, সন্ধ্যে নামুক দাড়া ।
আমার পুরুষে নাটক দেখে বোবার মত ইতিউতি চায়
অন্যে বলে ‘যা মেয়ে যা, তোর্ কারনে শান্তি নষ্ট হ্য় ।‘
শিকল ভেঙে রাজপথে হাঁটি স্বপ্নসাধ সব গেল হারিয়ে
একজন যেন অন্যরকম দিল বন্ধুর মত দুহাত বাড়িয়ে ।
আমি কৃষ্ণকলি
‘তুমি নও সেই পলাশ প্রিয়া আমি জানি তুমি কৃষ্ণকলি
আঁধারে ফুটবে ঝরবে, ঠিকানা কি হবে কোন কানাগলি ?
আমার মনের দুয়ার খোলা জন্মে জন্মে দোলা দিয়েছিলে
এসো কৃষ্ণকলি এসো শুন্য ঘরে আলো দিয়ে যাও জ্বেলে ।
কখনো বনলতা কখনো অনমিকা কৃষ্ণকলি এখন তুমি
সরে সরে গেছে দৃশ্যভূমি ভঙ্গে বিভঙ্গে জেগে আছো তুমি ।
যতবার আমি জন্মাতে আসি ততবার তুমি ক্যানভাস জুড়ে
তুমি যে আমার কৃষ্ণকলি এসো কাছে এসো থেকোনা দুরে ।