মনের ভিতর অনেক ঘেন্না অনেক প্রশ্ন জাগে
এই পৃথিবীতে কি আমি নিজের ইচ্ছাতে এসেছি ?
যদি ও এই আকাশ পৃথিবী মাটি খুব প্রিয়
জ্ঞান হবার পর থেকে জানি আমি অনাথ
প্রশ্নেরা তীব্রবেগে ছুটে আসে তীরের মতন
চোখ ঢেকে ফেলি যেন কেউ আমাকে দেখছেনা
জবাব দেবে আমার পিতামাতা?কেন নাম গোত্রহীন?
এই শুকনো চোখে দেখি মায়ের কোলে শিশু
আপনা থেকেই হাত বাড়িয়ে ফেলি
‘হাতটা ধরোনা মা আমি যে ভিড়ে হারিয়ে যাব’
যখন যন্ত্রনা চরমে নিজেই হাত নামিয়ে নিই
‘বাবা,আমি যে আর হাঁটতে পারছিনা
কাঁধে চড়িয়ে চলনা স্কুলে যাই’
পথচারী হেঁকে ওঠে ‘এই *বাচ্চা সরে যা’
দপ করে চোখে আগুন জ্বলে নিমেষে নিভাই
ঠিকই তো আমি যে পথে এটোকাঁটায় মানুষ
ইচ্ছা ছিল বলি ‘অনেকটা বাবু আপনারই মতো’
কেউ যে খুব কাতর কন্ঠে বলে উঠলো
‘আমি অন্ধ রাস্তাটা পার করিয়ে দাও বাবা’
নি:শব্দে নিশ্চিন্তে রাস্তা পার করার পর
যেন দৈববাণী শুনি ‘তোমার ভালো হোক’
অনাথ আশ্রমের অনেক খারাপের মধ্যে
এই একটা ভালো আমার মন ভালো করে
এনে দেয় একরাশ মুগ্ধতা আর বাঁচার ইচ্ছা...