অলীক বালিকা আমায় চিনতে পারেনি
আমার পাশ দিয়ে চলে গেল
        যেন দেখতেই পাইনি
অথচ আগ্রহভরে দেখতে চেয়ে ছিলাম
ওর  ছ্লাত্ছল হেঁটে যাওয়া পুকুরপাড়ে
পায়ে কাঁটা ফুটেছে তাই কি থমকে গেল  
কি ভেবে পিছন পানে তাকালো
          কাউকে মনে আশা করেছিল
আমিতো ঠায় দাঁড়িয়ে বৃক্ষের মত
বটের ঝুরি নেমেছে শিকড় গেছে গভীরে
তাই কি আমাকে মোটেই খেয়াল করছেনা
কাটা ঘুড়ি জড়িয়ে গেছে গাছের ডালে
        পত পত করে উড়ছে বাতাস দোলায়
অবাক বিস্ময়ে তাই দেখে অলীক বালিকা
তিনচাকা সাইকেল রিকশাতে একলা বর বউ
                পথ আগলে দাড়িয়ে মেয়ে ।
ক্রিং ক্রিং ঘন্টি শুনে চমকে উঠে
লজ্জাবতীর মত লাজুক হয়ে পথ ছেড়ে দেয়
কাজল ধোয়া চোখে বউটা কাঁদছিল          
বাসি মালায় বর কেমন সান্ত্বনা  দিচ্ছিল
কি ভেবে সে খিলখিলিয়ে হেসে উঠে
          ছুট্টে গেল রাস্তা ধরে পুকুর ধারে ।
যাও বালিকা যাও এ পথ দিয়ে ফিরো
পবিত্র মুখ জুড়ে সিক্ত কেশরাশি ছড়িয়ে রেখো  
পথ জুড়ে ভিজে পায়ের ছাপ রেখে যেও  
     সদ্য মুকুল ঘ্রাণে মৌমাছিরা ব্যাকুল হয়েছে
      অলীক বালিকা যাও ঘরে ফিরে যাও
বসন্ত ছুঁয়ে যাচ্ছে আর  দ্রুত পাল্টাচ্ছে পরিবেশ
যাও ফিরে যাও মিছিমিছি আর কোরনা দেরী ।