কাজলার মেয়েবেলার প্রিয় বন্ধু চন্দনার বিয়ের পর
সকালবেলায় বরের সাথে শ্বশুরবাড়ি গেল।
কাজলা ভাবে সোহম কোথায়? কে জানে! খবর নেই ?
চন্দনার মা কাজলার চোখ মুছিয়ে বলে,
চন্দনা একটা জামদানী শাড়ি রেখে বলেছে,
বৌভাতে যেন কাজলা ওইটাই পড়ে।
শাড়িটা পেয়ে খুব খুশি। শাড়ি পড়ে নিজেকে
আয়নায় মেলতেই মন অহংকারী, মাটিতে যেন পা পড়ছেনা ।
বাড়ি ফিরলেই বৌদি ভালোমন্দ অনেক কিছু বলবে।
কাজলা উত্তর দেবেনা ।


শাড়ির স্বপ্নে মশগুল।
টিয়াসবুজ জমিতে নীল পাড়,
থাকনা গায়ের রং একটু কালো!
অনেক দিনের ইচ্ছাপূরণ।
বাড়ির পথে যেতে নতুন শাড়ির গন্ধ নেয়।
মন এখন আনন্দী। হটাত্‍ চারিদিকে চিত্‍কার...
কালো কাঁচঘেরা গাড়িটা বিশাল শব্দে দাঁড়ায়,
গাড়ির যুবকটি ফিল্মী হিরোর মত জড়িয়ে ধরে।
হকচকিয়ে জ্ঞান হারানো কাজলাকে।
রাস্তার জনতা উত্তপ্ত হতেই দর্শককে আস্বস্ত করে বলে
উনি আমার পরম আত্মীয় ।
জ্ঞান ফিরতেই দুজনের চোখে চোখ কোন কথা নেই;
যেন উত্তম সুচিত্রা।
যুবক মুগ্ধতায় বলে -তুমি কত সুন্দর।
শাড়ির আঁচল দুলিয়ে মিষ্টি হাসিতে বলে
'সোহম গাড়ি চালাও অনেকদুরে যাব ।'