এই ইথার তরঙ্গে তরঙ্গায়িত হয়ে আছি
বিশ্বসংসারের এত অনু পরমানু এত কিছুর সাথে  
অস্তিত্ব বিপন্ন এর মধ্যে কোথাও নেই ঠায় ?
আমি থাকি ঠিক অতি অনাত্মীয়র মত
যেখানে থাকি সেখানেই সব বিনস্ট করি
নিজেকে অন্তরালে রাখার চেষ্টা তবু করে চলি;
পাছে সব দ্রবীভূত হ্য়, আমার তেজস্ক্রিয়তায়!
তুমি আমাকে এমন করে গড়েছ কেন?
সৃষ্টির প্রতিবন্ধকতায় বার বার আমি কেন?
ক্ষণেক তিষ্ঠ, হে বিশ্ব নিয়ন্ত্রক, জবাব চাই?
এই পবিত্র ভূমিরজ’তে ঠায় পাবনা কেন?
কোথায় নিক্ষেপ করবে? রসাতলের অতল গহ্বরে
জানতাম, তুমি নাকি অতিশয় উদাসীন উদার,
পাশাখেলার একটা চালে, এই সৃষ্টি স্থিতি লয় ;
শুনেছি সৃষ্টির বীজ লুক্কায়িত থাকে ধ্বংসের অন্তরে
তবে, কোথাও এককোনে একটু জায়গা দিও;
                অকুন্ঠ আকুতি রেখো,
              ওহে চিরন্তন আদিম স্রষ্টা...