দেওয়ালে যখন পিঠ ঠিক তখনি মনে হলো
শরীরের ভিতর উলট পালট,  কেমন পাল্টে যাচ্ছি ;
গাছের বল্কল যেমন একটু একটু ছেড়ে দেয়
পুরনো পাতা ঝরিয়ে কোরকে আনে নতুনের ডাক
কিন্তু আমি, যেন একটু অন্য রকম শ্বাপদের মতো
অন্ধকার ভিজে ভিজে জায়গা নিতান্ত পছন্দ
ইচ্ছা অনিচ্ছায় পড়ে আছি অনন্ত সময় ধরে
শরীরে সাপের মতো খোলসটা ক্রমান্বয়ে উন্মুক্ত ;
এখন সম্পূর্ণ আমি একটা অন্য কেউ !
যেতে পারি আলোর দিকে কিম্বা অন্ধকারে
প্রতিশোধ স্পৃহা চলনে প্রতি দৃষ্টির কৌনিক বৃত্তে,  
অভ্যন্তরে যে বিষের থলি, অনেক বিষ জমে জমে
তা কালের প্রলেপে আজ হয়েছে পরিপূর্ণ ;  
এখুনি হিংস্র ছোবলে সবটা নিষিক্ত করতে চাই
সামনের সারিতে শত্রু, প্রতিশোধ নিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ
যারা যন্ত্রনায় জর্জরিত করে ক্রোধ ভরে দিয়েছে হৃদয়ে
তাদের একে একে ফিরিয়ে দেব মৃত্যু উপত্যকায় ;
ধারালো এই শ্বদন্তের দংশনে সারা শরীর নীল ।
      পারছিনা কেন ? পিছনে কারা ডাকে ফিরে আয় !
      বেহালার ছড়ে কেন শুনি এক করুণ-ধ্বনি ?
      নাহ একটু একটু করে পিছু হটতে পিছুটান
      আমার চোখের আগুন একটু করে নিস্প্রভ ?
     শান্ত স্নিগ্ধতার কোমলতা ক্রমশ গ্রাস করছে !
     আমার আবার পুনর্জন্ম ...
     ওদের আবার ক্ষমা করে দিলাম ! ওরা যেন ভালো থাকে ।।
     এখন নিজের শরীরেই করি দংশন ... পৃথিবী হোক বিষমুক্ত