বাঁশের বনে যখন বাতাস খেলে
পাতায় পাতায় ঘষা লেগে শিরশিরানি
তখন সেখান দিয়ে পথ চলি
বুকের ভিতর দীর্ঘশ্বাস
একে একে মুক্ত করি
যাতে কেউ জানতে না পারে এত যন্ত্রণা ।
আকাশ থেকে অঝোরে বৃষ্টি পড়ে
মাঠ পাথার রাস্তা সব যেন একাকার
তখন সেখান দিয়ে পথ চলি
যত কান্না আছে আমার ভিতরে
ওদের একে একে আনি বাইরে
যাতে কেউ বুঝতে না পারে এত কান্না ।
সূর্য তাপে তাপিত বসুন্ধরা ছায়া খোঁজে
মাটি ফুটি-ফাটা মরিচিকায় নেই আস্থা
তখন সেখান দিয়ে পথ চলি
যত ক্রোধ আছে শরীর থেকে ঝরাই
ওরা একে একে দুর্গন্ধ ঘামের আকারে
যাতে কেউ মানতে না পারে এত ক্রোধ ।
এত যন্ত্রনা !
এত কান্না !
এত ক্রোধ !
চাপা থাকবেনা চিরকাল
আগ্নেয়গিরি ঠিক জ্বলবে একদিন দাউ দাউ করে ।