পার্বতী দি, কথা দিলাম সেদিন অবশ্যই আসবো;
সেদিন যে আমাদের প্রাণের ঠাকুরের জন্মদিন।
আসবো নিশ্চয় আসবো, সাথে ও থাকবে
আর একজন ও আসবে নতুন প্রজন্মের।
সেটা এখন একটু গোপন রাখছি।


এক এক করে সবাই চলে গেছে
কেউ কেউ প্রকৃতির নিয়মে চলে গেছে।
দূরে বহু দূরে এক্কেবারে না ফেরার দেশে।
মনে তখুনি গান ভাসে ...'' দূরে কোথায় দূরে দূরে...''
কেউ কেউ গেছে দূর দেশে নতুন হতে,
সুনন্দা'দি কি সুস্থ হয়েছে! সেও আসতে পারে!
আগের সে এসেছিল গান ও শুনিয়েছিল।
'' কি গাব আমি কি শোনাবো আজি আনন্দধামে''


যদি ও জানি অনেকেই আর আসবে না;
কিন্ত এই দিনটা এলেই তাহাঁদের কথা মনে পড়ে।
শত বছরের সেই মানুষটা নাম যার কুশারী বাবু
শেষ দিনেও তিনি আসতে চেয়েছিলেন।
আসলেই পাঠ করতেন শেষের কবিতা।
আর একজন পঁচানব্বই এর আপনভোলা চৌধুরী'দা
অবাক হয়ে যেতাম, কত কবিতা তাঁর কণ্ঠস্থ
একাই পাঠ করতো ''কর্ণ কুন্তি সংবাদ''
তাদের উত্তরসুরি আমরা।
তাই এই অনুষ্ঠান অবশ্যই সফল করতে হবে।
আমাদের অনেক কিছুই নেই অনেকেই নেই
তবু থাকবে প্রদীপ চন্দন মালার নৈবেদ্য।
আর থাকবে প্রাণের ঠাকুরের কিছু নিবেদন।


সেইসব মানুষগুলো যারা রয়ে গেছে স্মৃতিতে;
তারাও হয়তো আসবে অলক্ষে দাঁড়িয়ে সবটাই দেখবে।
এবার বলি নতুন প্রজন্মের যে আসবে,
সে নৃত্য পরিবেশন করবে "মম চিত্তে নিতি নৃত্যে''


ভোরের রবির আলো মেখে আনন্দ গানের পশরায়
আমাদের প্রভাতীর আসর জমে উঠবে।
সমবেত গানে ঠাকুরের জন্মদিনের অনুষ্ঠান শুরু করবো
'' হে নুতন দেখা দিক আরবার জন্মের প্রথম শুভক্ষন''