অনেকদিন থেকে কথা হচ্ছিল বন্ধুরা সবাই যেন একসাথে হই সপ্তমির দিন। আগের দুবছর কিছুই হয়নি।  দুই জেনারেশন থাকবে, আমরাও সাথে আমাদের উত্তরসুরিরাও। কথা অনেক হয় কথা কি রাখা যায়  না! যায়না। যেমন শিবু, সুজিত ওরা আসবেনা হিমাদ্রিরা হিমাচল বেড়াতে যাবে। দেবু স্বান্তনারা ওরা খন্যানে পাড়ার পূজায় ব্যস্ত থাকবে। কৃষ্ণনগর থেকে মানিক এসেছে, ওর বউ গলায় ইনফেকশান তাই আসবেনা। তবে নতুন কেউ কেউ আসবে। প্রায় কুঁড়ি বছর পর পীযুষ এসেছে রামকৃষ্ণর বউ মেয়ে এবার প্রথম এসেছে। আমাদের সাথে আনন্দ ভাগ করে নিতে।  আনন্দ হবে  খাওয়া দাওয়া হবে, পানের ব্যবস্থা আছে সেটা ইচ্ছুক যারা তাদের জন্য।
        পীযুষ গান ধরলে গান তার থামান যায়না, এটা ছোটবেলার অভ্যেস। তার নাকি বন্ধুর বউদের দেখে খুব রূপসী মনে হচ্ছে। তাই, প্রেম নিবেদনের মতন রোমান্টিক মান্নাদের গানগুলো গেয়ে যায় একের পর এক। সবাই আমরা কম বেশি জানি, লাল জলের সামান্য প্রভাবে প্রলাপ ও হতে পারে। তাই বিয়ে করা বউ মানসী অনেকটা নিরস লাগে। তবে শর্ত ছিল দুপুরে খাবার পর সে আর গান করবে না। কিন্তু কথা বোধ কেউ রাখেনা আবেগ বোধহয় কোন কথা রাখতে দেয়না । গান তার চলতেই থাকল। ফাঁকফোঁকরে শম্পার কবিতার সমুদ্র হয়ে গেছে গায়ক নায়ক পীযুষ। রক্তিমের ‘তনহায়’ কবিতা পাঠে চন্দনের বউ রিমা হয়ে যায় ‘সিলসিলার’ রেখা । কল্লোলের টইটুম্বুর রসাল গল্পে পাঁচ বউ ওর ওর পঞ্চসখি হয়ে যায়। চন্দনের আতিথেয়তায় মেয়েরা ফিদা। এখনো ওর দুগালে টোল পড়ে  যদি ও মাথা কেশ হীন তবুও আত্ম বিশ্বাস অগাধ।
        পূজার সপ্তমি মানে বন্ধুরা একজোট হয়ে হৈ হুল্লোড় নাচ গান। এবারে নাচ হলনা আনন্দশঙ্কর গ্রুপে নাচ করা বন্ধু শিবু গত বছর হারিয়ে গেছে করোনায়। দুপুর গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়।  তারপর সবাই একে একে ফিরে গেল কথা দিয়ে গেল নতুন উদ্যমে পরেরবার যেন আমরা সবাই আসি সারাবছরের অক্সিজেন নেবার জন্য।