রাতের লাস্ট ট্রেনটা বোধহয় এসে গেছে
আজকেই সাইকেলটা পথে বিগড়ে গেল,
দ্রুত গাছের গোড়ায় চাবি দিয়ে রাখল ;
প্রায় রুদ্ধশ্বাসে দৌড়োতে থাকে তমাল
সত্যিই লাস্ট ট্রেন চলে গেছে চত্বর শুনশান ,
বুকটা কেমন খালি হয়ে গেল,মগজ রক্তশুন্য
মনে হল মুখ থুবড়ে মাটিতে পড়ে যাবে
ভবঘুরের শোয়া বেঞ্চটাকে ধরে সামাল দেয়!
লোকটা জেগেছিল,সত্বর নোঙরা চাদর সরিয়ে
ভয়ার্ত চোখে কি যেন বলার চেষ্টা করে,
ইশারায় আঙ্গুলে দেখায় - ঐদিকে ঐদিকে;
কোথায় যেন অগাধ শক্তি ছিল তমালের
একরাশ চিত্কার জড়ো করে হুঙ্কার ছাড়ে,
সেই আওয়াজে কয়েকটা ঘুমন্ত কাক জাগে
তারপর সেই নিশ্ছিদ্র অন্ধকারের নিঃস্তব্ধতা
চোখে বড় প্রশ্নবোধক ''দিদি দিদি কোথায়"?
খ্যাপা কুকুরের মতো স্টেশন রোডের রাস্তায়
এখানে নেই পাশের গলি,নাহ এখানেও নেই
তবে কি? রেললাইনের অসমান ঝোপে ঝাড়ে!
হ্যা, ঐতো কারা যেন কাউকে ঘিরে
ওদের নখ দাঁত থেকে ঝরছে লালা
শতছিন্ন ওড়নাটা চিনতে দেরী হয়নি ;
আজ রাখী বন্ধনে'র সময় ওটা পুড়তো
প্রদীপের আলোতে ও পুড়তে দেয়নি !
ঝাঁপিয়ে পড়ে সিংহবিক্রমে, শুরু হয় অসম লড়াই
তমালের প্রাণপ্রদীপ নিভিয়ে, হায়নারা পিছু হটে;
সকালের বাঁধা রাখীটা লাল রক্ত ভিজে যাচ্ছে :
এখন বিজয়ী ভাই দিদির কোলে চিরনিদ্রায় ।