ভোরের সবুজ ঘাসে শিশিরে তোকে খুঁজে এসেছি।
ছুটে গেলাম বুড়িগঙ্গার ধারে,
তুই মাঝে মাঝে মন খারাপ করে সেখানে বসে থাকিস।
না সেখানে তুই নেই।
দেখি একরাশ সবুজ কচুরিপানায় ফুটে আছে
আমার ভীষণ প্রিয় সেই একমাত্র বেগুনি ফুল;
কি করে যে তোর নজর এড়িয়ে গেল কে জানে।
বুঝলাম এখানেও তুই আসিস নি।
বাঁধের ধারে পলাশ গাছের নিচে ছুট্টে গেলাম,
হাজার পলাশে গাছে যেন আগুন লেগেছে।
না সেখানেও শুনশান একদম ফাঁকা।
আগুন ঝরানো ফুলগুলো ঝরে আছে গাছের নিচে
সব আছে শুধু তুই নেই।
আকাশের নীলে শুধু একটা একলা চিল,
চক্কর দিচ্ছে, না জানি কোন অভিমানে।

আজ যে দোল উৎসব ।
তুই কোথায় কিংসুক তোর আবীরে,
আমি শেষবারের মতো রাঙতে চাই।
আর হয়তো কোনদিন কোন দাবী করবনা।
চোখে জল আসছে, বুড়িগঙ্গায় বর্ষায় ঢল যেমন আসে;
বুকের ভিতর কেমন উথলে উঠছে একটা শোকের ঝড়।


তোর গায়ের গন্ধ আমার খুব চেনা,
বুঝতে পারছি, ধারে কাছেই তুই আছিস।
দূরে দূরে না থেকে চোখের সামনে চলে আয়।
আমায় লাল আবীরে রাঙিয়ে দিয়ে যা কিংসুক।
জন্মের মতো দুচোখ ভরে শুধু তোকে দেখতে চাই ।
আয়না প্রিয় সখা আমার
এই ফাগুনের আগুন দিনে আমায় রাঙিয়ে দিয়ে যা।