ঋভু, তোমরা কেন মুঠো আলগা করছ।
দেখছনা, নৈর্ঋত থেকে ক্রমশ উদ্গিরন হচ্ছে দূষণ।
তোমার আকাশ করছে কালিমালিপ্ত
তোমার বাতাস করছে দুষিত
তোমার মধুর ভাষায় নিশ্চিন্ত দখলদারি
তোমার ভিতরে বাইরে করছে খবরদারি
শিক্ষা সংস্কৃতিতে এনে ফেলছে রাক্ষুসে প্রবৃত্তি
হিমালয়ের মত অতি সন্তর্পণে গড়ে তুলছে প্রাচীর।
বজ্রের মতন উন্নত মেরুদণ্ড ক্রমশ নত যাচ্ছে।
        
ঋভু, তোমাদের চোখে এখন স্বর্ণ মায়ামৃগ
সে তোমাদের ছুটিয়ে নিয়ে বেড়াবে,
তাঁর স্বার্থপর দৈত্য বানাবার পরিকল্পনা
আপনজন বিচ্ছেদ করে একাকিত্ব এনে দেবে;
একলা একটা প্রাসাদ, একা থাকার অনেক যন্ত্রণা।
কুড়ে কুড়ে খেয়ে ফেলবে তোমার কোমল হৃদয় ;
তুমি আর্তনাদ করবে - কেউ কি আমার সাথে আছো...
প্রতিধ্বনি - কেউ নেই... কেউ নেই... কিচ্ছু নেই...
রক্তাক্ত হৃদয় পুড়ে হয়ে যাবে ছাই ।

ঋভু, জানি নিশ্চিত জানি একদিন
ছাইগাদায় খুঁজে বেড়াবে, ছিঁড়ে ফেলা সম্পর্কের সুতো
ঝরা বকুলের বৃষ্টি, স্থলপদ্মের রঙ পরিবর্ত্‌
পাকা ফসলের গন্ধ, রবি নজরুলের গীতিসুধা;
ঢোলকলমির আশ্চর্য দোলা, টলমলে জলের পদ্মদিঘি।
সবই দুহাতে সরিয়ে দিয়েছ অবহেলায়।
আত্মদানের স্বাধীন জন্মভুমিও কিছু পেতে চায়।
তোমরা কি তখনো কৃপণ থাকবে? সাড়া দেবেনা!
ঋভু, তোমরা এখনি মাটি ছুঁয়ে উঠে দাড়াও,
ঘুরে দাঁড়াও, শত্রুর বুকে যেন শঙ্কা জাগে মৃত্যুর;

আবার আমরা যেন দেখি অর্ধশতকের ফুটন্ত সকাল।
দোয়েল শ্যামা চড়ুই যেন নিশ্চিন্তে ঘুমায় রাত্রিকাল