সবটাই কেমন বদলে যায়।
সাথে আমিও রঙ চটা দেয়ালের মতন।
কাল যাকে দেখে মনে হয়েছিল
আহা! এমনটাই বুঝি রয়ে যাবে চিরকাল।


থাকলো না। শিশুটা অবুঝ ছবি আঁকল।
একটা মাটির বাড়ি, পিছনে তার লাল
গোলাকার কিছু একটা অনেকটা সূর্যের মতন।
তাও আবার দুই পাহাড়ের মাঝখানে ...
যেন উঁকি দিয়ে উঠছে...
নীল আকাশ জুড়ে কত পাখীর ডানা।
আর একটা অদ্ভুত মতন গাছ
সবুজ পাতা ভর্তি । ফল আর ফুল।
তার সামনে ডোরাকাটা জামাপড়া
এক শিশু। সে যেন মুগ্ধতায় দাঁড়িয়ে
সবটা অবলোকন করছে। ছবিটা এমনি...


আমার চোখে চোখ পড়তেই শিল্পী শিশু
লজ্জায় মাথা নিচু করে ফেলে। ঠিক তারপরেই
মাথা নিচু অবস্থায় আড় চোখে আমাকেই দ্যাখে।
আমি তখন শরীরের রাগ প্রশমিত
করবার চেষ্টা করছি। সবেমাত্র দেওয়াল দামী
রঙে রঙ করেছি, সবটা বুঝি গেল।
ছেলেটা সরাসরি ঘুরে দাঁড়ায় সমুখে
চোখে চোখ রেখে। ভাবখানা এমন যেন
যা করেছি বেশ করেছি। চোখে চোখ
রেখেছে এমন করে যেন শুভদৃষ্টি...
নিস্তব্ধতা ভেঙে বললাম - এটা কি ভালো হোল?
পবিত্র হাসিতে সে উত্তর দিলো- আমার মনে হচ্ছিল,
তোমার বাড়ির দেওয়াল, স্পষ্ট আমায় ডেকে বলল
- এসো আমায় নোতুন করে আঁকো।
যা তোমার ইচ্ছা হয়।
সবটা শুনে চুপ করে রইলাম । কিচ্ছু বলিনি।


কেটে গেছে অনেকটা দিন অনেক প্রান্তর হেঁটে
যখন খুব ক্লান্ত। ছবিটা ভেসে উঠলো ঠিক তখুনি...
এখনো ছবিটা ঠিক তেমনই রয়ে গেছে।
তবে হ্যাঁ রঙটা বদলে ধূসর হয়েছে।