কাল সারাদিন ধরে দেখেছি
ছেঁড়া ছেঁড়া মেঘের একত্রিত হওয়া।
মাঝে মাঝে মনে হচ্ছিল মেঘের দল
একে অপরকে শুধাচ্ছিল সময় হয়েছে কি?
ওদের ভিতর সব্বার যে বড় মেঘ
সেই মেঘ বলে উঠল সময় হলে জানাব
তখন যার যেমন যতটা আছে ঝরিয়ে দিও।
দেখছনা, তাপ্রপবাহ আজ কিছুটা হলেও কম
পূবের দিনমণি কিছুটা দমে আছে।
কিন্ত, মনে রেখ নিজেদের অস্তিত্ত্ব
বাঁচিয়ে রাখতে বৃষ্টি হয়ে ঝরতেই হবে।
আমার শেষ ইঙ্গিত ঈশান কোণে বজ্র ঘোষণা।
সেই ধ্বনি যেন ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ল
দিক থেকে দিগন্তে মেঘ থেকে মেঘে।


ঝড় এসে সাথ দিল তোমরা একা নও বন্ধু
আমিও আছি তোমাদের সাথে। আমায় দলে রেখো।
বলনা আমার কি কাজ, কতটা ঝড় তুলতে হবে?
মেঘেদের নেতা মৃদু হেসে বলে
তোমাকে অবশ্যই লাগবে বন্ধু চিরকাল ছিলে সাথে।
তুমি বরং পশ্চিমী বাতাসকে খবর দাও
উত্তরের বাতাসের সাথে দখিনাতো আছেই...
শুকনো পাতায় ঘূর্ণি তোল, প্রাচীন ধুলো উরাও
জানুক সবাই ঝোড়ো কালবৈশাখী আবার এসেছে।
মেঘেদের জটলায় দিনের আলো কিছুটা পিছিয়ে
ঝোড়ো বাতাসের দৌলতে মানুষের স্বস্তি প্রকাশ।
মুষড়ে পরা গাছগুলোয় কেমন আন্দোলিত আনন্দ।


অবশেষে রাতের আঁধারে এলো ঝরে পড়বার সঙ্কেত
বৃষ্টি এলো ঝমঝমিয়ে, রাস্তা ঘাট ভিজে গেল,
গাছেরা স্নান করল, পাতায় পাতায় ঝিকিরমিকির।
অনেকদিন না ঘুমানো প্রিয়ার চোখে ঘুম এলো।
বৃষ্টি-বাতাস ভেজা গন্ধ কানে কানে বলে গেল
কাল মনে করে কিন্তু বেলফুলের মালা এনো।