সেদিন বৈশাখী দুপুরের শেষে
মেঘ পিওনের সাথে চকিতে দেখা।
আগুন তেজে ফেটে পড়লুম
কি ব্যপার বলতো
মেঘবালিকার খবর কিছু আছে ?
সে যে বলেছিল চৈত্রের শেষে অবশ্যই আসবে।
তাঁর শরীর মন সব সুস্থ আছে?
কি বলছ সে ভালো নেই!
কেন? কোন অভিমানে?
কার বিরহে সে বিরহিণী হোল আবার?
মেঘপিওন বলে ও যে বন্দিনী
সুতীব্র নীল রশ্মির কারাগারে ।
তাকে যে সবুজ বনানী সাথীরা ঘিরে থাকত
তারা হারিয়ে গেছে কোথায়!
যে শিশিরের আদ্রতা ওর নখে মাথায়
মুক্তোর সাজে সেজে উঠত তারাও আর আসেনা।
যে বাষ্পীভূত জলপরীর দল ওর সাথে লুকোচুরি খেলত,
তারা খেলা ভুলে গেছে ।
তাই ওর মন ভালো নেই।
সেইজন্যই সেও পারছেনা তোমাদের চিঠি লিখতে।
তবে হ্যাঁ সে লিখেছে ছোট্ট একটা বার্তা ।
দেরী হলেও সে আসবেই আসবে।
তোমরা যে অধীর অপেক্ষায় দিনের দাবদাহ,
আর রাতের বিনিদ্র রজনীর দিন অবসান করছ কষ্টে।
তারই অবসান করতে সে আসবেই।
তবে তোমাদেরও কথা দিতে হবে।
তোমরাও আরও বেশি বেশি সবুজের আল্পনা,
এঁকে রাখবে মাঠে ঘাটে আঙিনাতে ।
জানোইতো ইট কাঠ পাথর ইস্পাতের জঙ্গল,
সে এড়িয়ে চলে।
তোমাদের লোভের আগুনের রাশ টেনে ধরতে পারলেই,
দেখবে সবটুকু সহজ সাবলীল হয়ে যাবে ।
সেই মেঘবালিকা হয়ে উঠবে কৃষ্ণকলি।
সজল শ্যামলীমায় বৃষ্টি নূপুর পড়ে,
রিমঝিমি মেঘমল্লার গানে ময়ূরীর মতন নেচে উঠবে।