যে দিনগুলো চলে গেছে কালের অতলে
          মনের সুনামিতে উঠে আসছে ;
ওই যে দিনটা টাটকা জীবন্ত ফুলের মত
                   সেদিন ছিল নবীনবরণ;
যে মেয়েটা চুপচাপ থাকত নাম রঞ্জনা
  পাখীর মত সরু গলায় তার উপস্থিতি;
ওর নাম ঘোষণা হয় সঙ্গীত পরিবেশনায়,
       আমার বুকেতে শুরু মাদলধ্বনি;
ওর গানে মুগ্ধ শ্রোতারা হাততালি দেয়
      অজান্তে আমিও ভীষণ উচ্ছসিত;
মঞ্চ থেকে প্রস্তাব আসে দ্বৈত সঙ্গীতের
      যে মেয়ে ডেকেছে সে রঞ্জনা ;
কানে তখন খোল করতাল কাঁসির শব্দ
     বেসুরে একসাথে বেজে উঠেছে ;
মন্ত্রমুগ্ধ ক্রীতদাসের মত পাশে বসি
     কি করব কি হবে কিচ্ছু জানিনা;
চোখের ঈশারায় কি যেন বলে দিল
     যুদ্ধক্ষেত্রে নির্ভিক আমি যোদ্ধা ;
অনুষ্ঠান শেষে প্রবল শুভেচ্ছা স্রোতে
     নিছক খড়কুটো ভেসে গেলাম ;
আমার দুচোখ রঞ্জনাকে খুঁজে গেল
  সেই মেয়ে কি কর্পুর যে উবে গেল!
পরের দিন সে আসেনি তারপর দিন
     আর কোনদিনের জন্যে সে নেই ।