দিনে দুপুরে যখন তখন তাঁর ডাক পড়ে
সেও আসে শব্দ নিঃশব্দে ছন্দে বিভঙ্গে
তালে একতালে বিষম তালে অমিত্রক্ষরায়
হাসায় কাঁদায় স্বপ্ন দিয়ে জগত ভরায়
দেশ গড়তে তাঁর ভূমিকা অসীম অনন্ত।


বুকের ভিতর সাগর উথলে ওঠে
আদি অন্ত জুড়ে বিস্তৃত তাঁর অথই সীমানা
অঢেল তাঁর উপাখ্যান সারা জীবনের ঠিকানা
কেউ তাঁর শরীর খোঁজে কেউ করে তাঁর পূজা
কেউ অশ্লীলতায় দায়ে আগুন ধরায় চুলে।


অতি ব্যবহারে সে ভীষণ ক্লান্ত পরিশ্রান্ত
দুদণ্ড জিরিয়ে নেবার সময় কোথায় তাঁর
কবে সেই হয়েছিল বনলতা নীরা নন্দিনী
এখন বিচিত্র বর্ণে ঘোর অনিচ্ছায় তাঁর প্রকাশ
তারই কারণে প্রাপ্তিযোগ কারোর অনন্য একাদেমি।


সাধ্য সাধনায় তাঁর দেখা পেলাম না
বারোটা বাজল এখনো ধরা দিলো না
হয়তো সে বাঘের কাছে আজ হরিণ ছানা।
বেঁধে রেখেছে কৌশলে সোনার শিকলে
আজ আমার শূন্য পাতায় তাঁকে পেলাম না।