আজ সাতসকাল থেকে বৃষ্টি
বিশাল বিদ্যুৎ চমকে ঘনঘন বজ্রপাত।
অথচ ভোরসকাল ভালই ছিল
রাজপথ জুড়ে বাইপাসের দিকে হাঁটা ছিল।
কিশোরীর মত সদ্য ঘুমভাঙা রোদ্দুর ছিল।
রাস্তার মধ্যভাগে অনেক ফুলের মেলা ছিল।
ফুল তুলুনিদের অত্যাচার সহ্য করে ও ওরা ফোটে।
টগর কাঞ্চন শিউলির সূর্যের সাথে লুকোচুরি।


কথা নেই বার্তা নেই
হটাত মেঘ কালো, শুরু হয়ে গেল বৃষ্টি।
এখন আর কেঊ বাড়িতে বারান্দা রাখেনা।
পথচলতিরা ভীষণ অপছন্দের মানুষ।
যদি ও বা থাকে দাঁড়ানো উপায় নেই।
মাথা বাঁচাতে দাঁড়িয়ে পড়লাম শেডের নিচে
আর একজন এসে জুটল উনি বাজারমুখী।
ভুল করে স্কুলমুখী মেয়েটা এলো।
আজ না ছুটি । আজ যে ঘুড়ি পূজা।
না না স্কুল দিদি বলেছিল
-মিডডে মিলের চাল বেঁচে গেছে, নিয়ে যাস।


আমাদের দেখাদেখি একটা কুকুরও এসে জুটল
করুন তার চোখের দৃষ্টি,
ভাবখানা এমন যেন- দয়া করে তাড়াবেননা।
বোঝেনতো, এই বৃষ্টিতে ভিজলে শরীর খারাপ হয়।
এসেই গা ঝাড়া দিল সেই সারমেয়।
তা ছিটকে গেল রবাহুত অতিথিদের শরীরে।
আর থাকা গেলনা।
রাস্তায় নেমে হাঁটা জুড়ে দিলাম।
কুকুরের মুখে স্পষ্ট জিজ্ঞাসা দেখলাম
যেন বলছে - যাহ্‌ খুব কি অন্যায় হয়ে গেল।
      ভীষণ রকম হাসি পেল।
শহরের বৃষ্টির কাছে নিজেকে সমর্পণ করলাম।