সত্যি ওরা কোথায় গেল
ফুল পাখীর সাথে সম্পর্ক ছিল।
আমি ছিলাম আমিই আছি
হটাত কেমন পাল্টে গেল।
হাত বাড়িয়ে কথারকথা ছিল
দেখা হলে ভাল মন্দ ছিল।
ভালো আছি, কেমন আছেন?
হাসি মুখের জবাব ছিল।
মোরগ ডাকা সকাল ছিল
নিয়ম করে পথ ধোয়া ছিল।
তোমার বাড়ি আমার বাড়ি
নিত্যি যাওয়া আসা ছিল ।
দুঃখ তাপে পাশে থাকা ছিল
প্রাণখোলা হাসি তাও ছিল।
আযান ছিল উলুও ছিল
রাম রহিমে গলাগলি ছিল।
পাড়া প্রতিবেশীর ঝগড়া ছিল
মুখ দেখাদেখি বন্ধ তাও ছিল।
প্রয়োজনে হাত বাড়ানো ছিল
পূজা পার্বণে সব মিল ছিল।
লোক দেখানো ভাব ছিল
একে দুয়ে কানাকানি ছিল।
গুজগুজ ফুসফুস তাও ছিল
পা ছড়িয়ে খোশ গল্প ছিল।
এ বাড়ি ও বাড়ি প্রেম ছিল
কেউ জানেনা এমনভাব ছিল।
ধরা পড়লে খুব বিপদ ছিল
হয় বন্ধন নয় বিরহ ছিল।
মোহনবাগান কারোর প্রিয় ছিল
ইস্টবেঙ্গল কারোর ভালো ছিল।
ঘরে-বাইরে দুইদলেতে খেলা ছিল
হারজিতে আলো আঁধার ছিল।
সকাল সন্ধ্যে ফেরিওলা ছিল
পিওনবাবুর তাড়াতাড়ী ছিল।
নিয়ম করে কর্পোরেশনের জল ছিল
ভোর থাকতে লাইন ছিল।
পূজায় একটা জামা ছিল
মেলায় নাগরদোলা ছিল।
একসাথে সব যাওয়া ছিল
পাপর বাদাম ভাজা ছিল।
সময় কিছু ভাবনার ছিল
গান কবিতা পড়ার ছিল।
তাশের দেশের মহড়া ছিল
হয়তো, কম পাওয়াতে সুখ ছিল।
সবই ছিল কোথায় যেন হারিয়ে গেল
জানি সেইদিন আসবেনা আর ফিরে।
তবুও ওরা ভিড় করে স্মৃতির দরবারে
শীত গ্রীষ্ম বর্ষায় বৃষ্টি ধারায় ঝরে।